প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ঘর’ পাচ্ছেন ২১৬ পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে সামনে দাঁড়িয়ে একটি অসহায় পরিবার, ছবি: বার্তা২৪

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে সামনে দাঁড়িয়ে একটি অসহায় পরিবার, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও দারিদ্র বিমোচনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের গরিব অসহায়দের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। 'যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় এই ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। যেখানে চাঁদপুরের কচুয়ায় ২১৬ টি গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে গৃহ নির্মাণ করা হয়।

২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে ২টি করে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যাদের এক থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ১লক্ষ টাকা করে ২কোটি ১৬ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়।

আর বর্তমানে এসব গৃহ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং কোথাও কোথাও গৃহ নির্মাণ শেষে উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গৃহে বসবাস করে আসছে।

সরেজমিনে গিয়ে কচুয়া উপজেলায় ৮নং কাদলা ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামের উপকারভোগী ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগমের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, আমার স্বামী একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। এভাবে ঘর পেয়ে অনেক আনন্দিত হলাম। আমাদের আংশিক জমি থাকলেও গৃহ নির্মাণের সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতী উদ্যোগে ও স্থানীয় সাংসদ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র প্রচেষ্টায় আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি।

কচুয়ায় 'যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ' প্রকল্পের আওতার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহ নির্মাণ ঠিকাদার ইউপি সদস্য মো: খাজা মিয়া জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো প্রকার ত্রুটি না রেখেই প্রতিটি গৃহ নির্মাণের চেষ্টা করেছি।

ভিটি পাকা করণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মো: বিল্লাল হোসেন জানান, প্রতিটি ঘর নিজের ঘরের মতো ভেবে আন্তরিকতার সাথে পাকা করেছি।

পালাখাল মডেল ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ জানান, আমার ইউনিয়নে ১৮টি ঘর পেয়েছি। যারা পাওয়ার উপযুক্ত এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করে ঘরগুলো দেয়া হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আশেকুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মফিজ উদ্দিন মাসুদ বলেন,' অন্য যেকোনো প্রকল্পের চাইতে গরিবদের মাঝে গৃহ নির্মাণ বরাদ্দ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গরিব অসহায় পরিবারের লোকজন উপকৃত হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কচুয়ায় ২১৬টি ঘর পেয়েছি। যা ইতিমধ্যে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পথে। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেশ কটি ঘর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। কচুয়ার জন্য পরবর্তীতে আরও ঘর বরাদ্দের জন্য তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ীই পর্যায় ক্রমে সকলেই ঘর বরাদ্দ পাবেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;