বাঁশের খাঁচায় বড় হচ্ছে শিশু আল-হাশর



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
দিনের বেলা এই বাঁশের খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয় শিশু আল-হাশরকে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

দিনের বেলা এই বাঁশের খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয় শিশু আল-হাশরকে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত বছর বয়সী আল-হাশরের বাবা-মা থেকেও নেই। সমবয়সীদের সাথে হেসে-খেলে স্কুলে যাওয়ার কথা তার। সেই বয়সে তাকে বন্দি করে রাখা হচ্ছে বাঁশের তৈরি খাঁচায়। শিশুটি জানে না তার কী অপরাধ, কেনই বা তাকে হিংস্র প্রাণীর মতো খাাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়।

খাঁচার মধ্যেই চলে তার খাওয়া দাওয়া ও খেলা ধুলা। সন্ধ্যা হলে খাঁচা থেকে বের করা হয় আল হাশরকে। এভাবেই  গত এক বছর ধরে খাঁচার মধ্যে বেড়ে উঠছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের জোরগাছা পুর্বপাড়া গ্রামের সুজন ইসলাম ও ইতিমনি খাতুন দম্পতির সন্তান আল-হাশর।

আল-হাশরের বাবা-মা দুজনেই গার্মেন্টস কর্মী। দাম্পত্য কলহের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও দেড় বছর ধরে পৃথকভাবে বসবাস করেন ঢাকায়।

সুজন ইসলামের বড় ভাই আলমগীর হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সুজন স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় একসাথে কাজ করতো। তাদের একমাত্র সন্তান  আল-হাশর জন্মগ্রহণের পর কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। মাথাসহ শরীর সব সময় গরম থাকত। মাঝে মধ্যেই শরীরে জ্বর দেখা দিত।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/15/1550187789673.gif

‘শিশুটি বড় হওয়ার সাথে সাথে সমস্যা বাড়তে থাকে। একা ছেড়ে দেওয়া হলেই শক্ত কোনো বস্তুর সাথে মাথা আঘাত করতো। অন্যান্য শিশুদের থেকে সব সময় নিজেকে দূরে রাখত। এই অবস্থায় ঢাকা ও বগুড়ায় শিশুটির অনেক চিকিৎসা করানোর পরেও চিকিৎসক তার রোগ নির্ণয় করতে পারেননি।’

এদিকে বছর দেড়েক আগে আল-হাশরের বাবা-মা আলাদা বসবাস শুরু করেন। এমতাবস্থায় আল-হাশরকে রেখে যাওয়া হয় গ্রামে দাদির কাছে। গ্রামে এসেও একই অবস্থা। ফলে বাড়ির উঠানে বাঁশ দিয়ে বড় আকারের খাঁচা তৈরি করে খড় বিছিয়ে সেখানে রাখা হয় আল-হাশরকে। খাঁচার মধ্যেই চলছে খাওয়া দাওয়া আর খেলা ধুলা। সন্ধ্যার পর খাঁচা থেকে বের করে ঘরে নিলে ঘুমিয়ে পড়ছে দাদির সাথে।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘আল-হাশর দিন দিন বড় হওয়ার পাশাপাশি তার আচরণও হিংস্র হচ্ছে। তার দাদি ছাড়া অন্য কেউ কাছে গেলে তাকে আক্রমণ করে। সমবয়সী ছেলেদের সাথে খেলতে গেলেও তাদেরকে মারধর করে। সেই সাথে ইটের দেয়াল কিম্বা বড় গাছ দেখলেই মাথাদিয়ে আঘাত করে সেখানে। ফলে বাধ্য হয়ে তাকে রাখা হয় খাাঁচাবন্দি করে।’

আল-হাশরের দাদি আজিরন বেওয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শিশুটির কষ্ট না পারছি দেখতে, আবার না পারছি সহ্য করতে। বাবা-মা থেকেও নেই। তারা কোনো খবর রাখে না। আমরা গরিব মানুষ, টাকার অভাবে ভাল কোনো চিকিৎসাও করাতে পারছি না। সামাজের কেউ এগিয়েও আসে না অবুঝ শিশুটির চিকিৎসার জন্য। খাঁচায় বন্দি করে রাখা ছাড়া আমাদের আর কী করার আছে?’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;