হারিয়ে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের ইমিটেশনের পণ্য



মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গোপালগঞ্জ
হারিয়ে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের ইমিটেশনের পণ্য। ছবি: বার্তা২৪.কম

হারিয়ে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের ইমিটেশনের পণ্য। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তান আমল থেকেই গোপালগঞ্জ ঐতিহ্যগতভাবে ইমিটেশনের গহনার জন্য বিখ্যাত ছিল। ব্রোঞ্জ ও পিতলের গহনা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করত হাজার হাজার নারী-পুরুষ। আর এসব গহনা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে জেলার মুকসুদপুরের জলিরপাড়ে গড়ে উঠেছিল বিশাল ব্রোঞ্জ মার্কেট।

কিন্তু উন্নত মালামাল, ডিজাইন ও টেকসইয়ের অভাবে দিন দিন চাহিদা কমে যাচ্ছে এসব গহনার। ফলে বিদেশি উন্নত পণ্যের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের তৈরি ইমিটেশন শিল্পের এসব গহনা। তবে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এখানকার কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

ব্রোঞ্জ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী উরুদাস শীল বলেন, ‘আমরা ঢাকার জিনজিরা থেকে কেজি প্রতি ৮শ টাকা দরে ব্রোঞ্জ কিনে আনি। এরপর কারিগরদের মাধ্যমে ডাইসে ও হাতে গহনার ডিজাইন করে ৪-৬ ধরনের এসিডের পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হয়। পরে মেশিন দিয়ে পলিশ ও রঙ করে গহনা তৈরি করা হয়। এখানে হাতের আংটি, চুড়ি, কানের দুল, নাকফুল, কবচ, নুপুর, হাতের বাজু, চেইন, ক্লিপ, ঝুমকা, চুলের কাটাসহ বিভিন্ন ধরনের গহনা তৈরি করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550291035717.jpg

তিনি আরও জানান, এসব গহনা আগে আমাদের দেশ ছাড়াও বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতে রফতানি করা হতো। এখন তেমন চাহিদা না থাকলেও বিভিন্ন জেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য কিনে নিয়ে যায়।

কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে অনেক চাহিদা থাকায় হাজার হাজার কারিগররা এখানে গহনা তৈরি করত। কিন্তু বর্তমানে এসব গহনার চাহিদা কম। তাই একদিকে যেমন কমে গেছে গহনা তৈরির তৎপরতা, অন্যদিকে ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় কারিগরের সংখ্যাও অনেকটাই কমে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550291058756.jpg

ব্রোঞ্জ মার্কেট সমিতির সম্পাদক সুকান্ত তালুকদার বলেন, ‘চীন ও ইন্ডিয়ার মানসম্পন্ন ডিজাইনের গহনা ও সুলভ মূল্যের কারণে আমাদের এখানের তৈরি গহনার চাহিদা কমে গেছে। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এখানের তৈরি গহনার পাশাপাশি বিদেশি পণ্য এনে বিক্রি করছে অনেকেই।

ব্রোঞ্জ মার্কেট সমিতির সভাপতি মন্টু রায় বলেন, ‘উন্নতমানের মেশিন থাকলে আমরা চাহিদা সম্পন্ন গহনা তৈরি করে বাজারজাত করতে পারব। সরকার আমাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করলে অবশ্যই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;