সরকারি চাকরি করে বেতন পাচ্ছি না, এটা কেউ বিশ্বাস করে না



মাহমুদ আল হাসান রাফিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী, বার্তা২৪.কম
নীলফামারীর চিলাহাটি সরকারি কলেজ। ছবি: বার্তা২৪.কম

নীলফামারীর চিলাহাটি সরকারি কলেজ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর চিলাহাটি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ যোগদান না করায় গত পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না প্রদর্শকসহ অন্যান্য কর্মচারীরা। এছাড়া বন্ধ হয়ে রয়েছে উন্নয়ন কার্যক্রম। এমনকি ব্যত্যয় ঘটছে প্রশাসনিক কার্যক্রমে।

২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চিলাহাটি সরকারি কলেজের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ইন্দ্রিস মিয়া। এখান থেকে পদায়ন পেয়ে দিনাজপুর মহিলা কলেজে যোগদান করেন তিনি। একই সময়ে অধ্যক্ষ হিসেবে চিলাহাটি সরকারি কলেজে পদায়ন করা হয় মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর সরকারি কলেজের অধ্যাপক রঞ্জিত কুমার সরকারকে। সরকারি আদেশ থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিতে এ পর্যন্ত যোগদান করেননি তিনি।

নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষের অনুমতি (স্বাক্ষর) সাপেক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সহ যাবতীয় ব্যয়ের জন্য টাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে অধ্যক্ষ না থাকায় আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে না পারায় শিক্ষা উপকরণ কেনা সম্ভব হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়ছে পাঠদান প্রক্রিয়ায়।

অধ্যক্ষ না থাকায় যেমন পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেছে, তেমনি উন্নয়ন কার্যক্রমও থমকে দাঁড়িয়েছে। একাডেমিক ভবন স্থাপন প্রক্রিয়া বন্ধ আছে এবং ভবন মেরামত বাবদ দশ লাখ টাকা আসলেও কাজ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। সময় মতো এগুলো করতে না পারলে বরাদ্দের টাকা ফেরত যাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

চিলাহাটি সরকারি কলেজের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা প্রভাষক আখতারুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে জানান, নীলফামারী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় কলেজটি অবস্থিত। অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া রঞ্জিত স্যার এখানে আসতে চাইছেন না। চিলাহাটি কলেজটি এখন একজন সহযোগী অধ্যাপককে দিয়ে চালানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কাছে এরকমও বলা হয়েছে। অতিদ্রুত স্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে একজনকে পদায়ন করা দরকার। কারণ অধ্যক্ষ না থাকলে খুবই সমস্যা হয়, যা বলে বুঝাবার মতো নয়।

কলেজের প্রধান অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অক্টোবর থেকে প্রদর্শকসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে। প্রিন্সিপাল স্যার না থাকায় কেউ বেতন তুলতে পারছি না।’

অফিস সহায়ক জুয়েল রানা বলেন, ‘ছোট চাকরি করি। আট সদস্যের পরিবার চলে এখানকার বেতনের ওপর। ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে। সরকারি চাকরি করে বেতন পাচ্ছি না, এটা কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।’

প্রসাশনিক শাখা সূত্রে জানা যায়, কলেজে ২৫ জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছেন ১১ জন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৪ জনের স্থলে রয়েছেন ১২ জন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নেই একজনও।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরকার ফারহানা আক্তার সুমি বলেন, ‘সমসাময়িক সকল সংকট দ্রুত নিরসন করা হোক এবং আমাদের এই কলেজটিতে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা প্রয়োজন। চিলাহাটি ও আশপাশের এলাকার অনেক শিক্ষার্থী নীলফামারী-রংপুর গিয়ে কষ্ট করে পড়াশোনা করছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;