বাংলাদেশ জলসীমায় রাজত্ব করছে ভারতীয় জেলেরা



ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম
মাছ ধরতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা, ছবি: বার্তা২৪

মাছ ধরতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সাগরের বিশাল জলরাশির সাথে জীবন-মরণ যুদ্ধ করি প্রতিনিয়ত। কখনো ট্রলারসহ ডুবে যাই আবার কখনো ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে ভাসতে ভাসতে চলে যাই গভীর থেকে গভীর সাগরে। তখন নির্ভর করি ভাগ্য বিধাতার ওপরে। কখনো ভাসা ধরে ভাসতে ভাসতে উঠে যাই সুন্দরবন। আবার ক্লান্ত শরীর নিয়ে হিংস্র বাঘের তাড়া খেয়ে উঠে যাই গাছের মগ ডালে। সব কিছু মানতে পারি। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতেই পারে। তবে মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগে পড়লে সেটা কেমন লাগবে। আপনার রিজিক কেউ নষ্ট করলে আপনি তাকে ছেড়ে দেবেন? না দেবেন না। কিন্তু আমরা ছেড়ে দিয়ে আসি। কারণ বাঘ-বিড়ালের লড়াইয়ে কে জিতবে সবার জানা, বিশাল আকৃতির ট্রলিং জাহাজ ও বড় ফিশিং বোর্ডের সাথে আমাদের ছোট ছোট ট্রলার পারবে কিভাবে। নির্যাতিত হয়ে যখন কোষ্টগার্ড বা নৌবাহিনীর কাছে বলতে যাই তখন আবার ধমক খেয়ে চলে আসি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550296567638.jpg

একবুক কষ্ট নিয়ে বার্তা২৪.কমকে কথা গুলো বললেন বরগুনার মাছের খাল এলাকার এফ বি জয়নাল ট্রলারের মাঝি বাবুল মিরা (৬৬)।

তিনি অভিযোগ করে প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত ভারতীয় ট্রলিং জাহাজ ও বড় ফিশিং ট্রলার প্রবেশ করে বাংলাদেশ জল সীমায়। রাজত্ব করে ইলিশ শিকার করে। গভীর সমুদ্রে ছোট ফাঁসের জাল টেনে মাছ ধরে তারা। আর যদি গভীর সমুদ্রে মাছ কম থাকে তবে চলে আসে ২৫ থেকে ৩০ বামের মধ্যে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাবুল মিরা বলেন, ‘গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ইলিশ শিকার করছিলেন তারা। এমন সময় ভারতীয় একটি অত্যাধুনিক ট্রলিং জাহাজ এসে ট্রলারটিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে তাদের জাল-দড়ি টেনে নিয়ে যায়। পরে তারা ঘটনাটি কোষ্টগার্ডকে জানালে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550296645329.jpg

ভারতীয় ট্রলারের অত্যাচারের ব্যাপারে অতিষ্ঠ বাংলাদেশের সব জেলেরা। পাথরঘাটার বিভিন্ন ট্রলারের একাধিক জেলেদের সাথে কথা বললে তারা বার্তা২৪.কমকে জানান, ভারতের কাকদ্বীপের জেলেরা যখন ভারতীয় জল সীমায় মাছ কম পায় তখনই প্রবেশ করে বাংলাদেশ জল সীমায়। আর তাদের ট্রলিং জাহাজে রয়েছে মাছের স্থান নির্ণয়কারী যন্ত্রসহ অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি। তাই তাদের সাথে কোন ভাবেই পেরে উঠছেন না তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550296658865.jpg

এদিকে, বরগুনার তালতলীর খবির মোল্লার মালিকানাধীন এফ বি নাজমা-১ ট্রলারের একাধিক জেলেরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তীসব এলাকায় সব থেকে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে। তাই ওই সব এলাকায় বাংলাদেশি জেলেরা মাছ বেশি ধরেন। তবে থেমে নেই ভারতীয় জেলেরাও। তারা ট্রলিং জাহাজ ও অত্যাধুনিক ট্রলার দিয়ে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলার সরিয়ে জাল-দড়ি টেনে নিয়ে যায়। তবে যদি তারা প্রতিবাদ করে তবে তাদের ট্রলারে পাথর নিক্ষেপ করে ভারতীয়রা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550296672344.jpg

এ বিষয়ে বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানান, ভারতের কাকদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের জল সীমায় খুব সহজেই অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করেন ভারতীয় জেলেরা। ফেয়ারওয়ে বয়ার কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনী কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়না। যদি কখনো বাংলাদেশের জেলেরা ভারতের জলসীমায় ঢুকে যায়, তবে বছরের পর বছর জেল খাটতে হয় তাদের। কিন্তু বাংলাদেশের জেলেদের জোর দাবিতে যদি কখনো কোন ভারতীয় জেলেদের আটক করে কোষ্টগার্ড বা নৌবাহিনী, তবে তাদের পুশ ব্যাক করে দেয় তারা। তবে এ নিয়ে বরগুনার জেলেরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ অনেক আন্দোলন পর্যন্ত করেছেন তারা। স্মারকলিপিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর। তবে সমাধান হয়নি সমস্যার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550296687944.jpg

এ বিষয়ে বরগুনার পাথরঘাটা কোষ্টগার্ডের সাব লেঃ কমান্ডার মো. জহিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বরগুনার আওতায় কোনো ভারতীয় জেলে প্রবেশ করতে দেননা তারা। আর সব সময় সজাগ দৃষ্টিতে থাকেন তারা। তবে ভারতীয় জেলেদের প্রবেশ করার সহজ পথ ফেয়ারওয়ে বয়া। সেখান থেকে ভারতীয় জেলেরা প্রবেশ করলে তাদের কিছু করার নাই। কারণ সেটা কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের আওতায়।

তবে এ ব্যাপারে কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা লেঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাংলাদেশের জেলেদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারতীয় কোন জেলে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেন না। উল্টো বাংলাদেশের জেলেরা বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করেন।

তবে এর আগে একাধিক বার ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় নৌবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঘটনাগুলোও কী মিথ্যে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ভুলক্রমে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেন তবে তাদের আটকের পর পুশ ব্যাক করা হয়।

ইলিশ মৌসুম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ উপকূলে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ। বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের সমুদ্র সীমার প্রায় ১৫০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ ধরছে ভারতীয় জেলেরা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;