বাড়ি ফিরতে ব্যাকুল বিজিবির গুলিতে আহত সাদেকুল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, দিনাজপুর, বার্তা২৪.কম
বাড়ি ফিরতে ব্যাকুল বিজিবির গুলিতে আহত সাদেকুল। ছবি: বার্তা২৪.কম

বাড়ি ফিরতে ব্যাকুল বিজিবির গুলিতে আহত সাদেকুল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে দিন মজুরির কাজ করেন সাদেকুল ইসলাম (৪৫)। ২৭ দিন পর গত মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাজ শেষ করে ঢাকা হয়ে আলম পরিবহনে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সকাল ৭টার সময় রাণীশংকৈল শিব দিঘি মোড়ে নেমে ছেলেকে ফোন করে জানতে চান বাড়িতে বাজার খরচ কিছু লাগবে কিনা? তারপর বাপ-ছেলেতে দেখা হয় এবং স্থানীয় সাপ্তাহিক বাজার যাদুরানী হাটে চাল, ডাল, শাক-সবজি কিনে ইজিবাইকে করে বাড়ির দিকে রওনা হয় তারা।

কিন্তু হঠাৎ গোলাগুলি, ছোটাছুটি, চিৎকার। অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান সাদেকুল ইসলাম। জ্ঞান ফিরে তিনি দেখেন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। বিজিবির ২টি গুলি তার পেটে ভেদ করে বের হয়ে গেছে।

এভাবেই গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বিজিবির সঙ্গে গরু নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কথাগুলো বলছিলেন সাদেকুল ইসলাম।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে, কাতরাতে দুটি গুলিবিদ্ধ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, নড়াচড়া করতে পরি না। সংসারে আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় এক মাস পর বাড়ি যাচ্ছিলাম। কিন্তু বাড়ির দুয়ারের কাছাকাছি এসেও যেতে পারলাম না। আমি বাড়ি ফিরতে চাই। এখানে ভালো লাগছে না।’

ওই দিনের ঘটনায় বর্ডার গার্ড সদস্যদের অতর্কিত গুলি বর্ষণে ৩ জন নিহত ও ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ১১ জন পুরুষ রয়েছে। ঘটনার দিনই গুলিবিদ্ধ ১৪ জনকেই ভর্তি করা হয় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি দেখে সেই রাতেই গুলিবিদ্ধ এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. কাসেমকে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- মো. সোহেল রানা (২৫), মো. রাসেল (২৩), মো. আনসারুল (২৫), এরশাদ (৪০), আব্দুল হান্নান (৫৫), মিঠুন আহমেদ (২০), মো. রুবেল (১৭), তৈমুর রহমান (৪৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৪), মো. সাদেক (৩০), মো. বাবু (২৫), মুনতারা (৪০), জয়গুন বেগম (৩০) এবং নুরনাহার (৪৫)।

আহতদের সবার গায়েই রয়েছে গুলির ক্ষত। গুলির আঘাতে ক্ষত হয়েছে কারো পা, কারো হাত। পেটে গুলি লেগেছে তিন জনের।

হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজিবির সঙ্গে যাদের এই সংঘর্ষ হয়েছে তার মধ্যে তারা কেউ ছিলেন না।

গুলিবিদ্ধদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর মেডিকেল অফিসার (আই.এম.ও) রাশেদুল ইসলাম রনজু জানান, গুলিবিদ্ধ প্রায় সবারই শরীরে গুলি লেগে একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত হয়ে বেরিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের অবস্থা আপাতত আশঙ্কামুক্ত। আহতদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;