চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেই বর্জ্য শোধনাগার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা, বার্তা২৪
খোলা পরিবেশেই ফেলা হচ্ছে রোগীদের বর্জ্য, ছবি: বার্তা২৪

খোলা পরিবেশেই ফেলা হচ্ছে রোগীদের বর্জ্য, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেই নিজস্ব বর্জ্য শোধনাগার কার্যক্রম। তাইতো বাধ্য হয়েই প্রতিদিনের দূষিত বর্জ্য ফেলা হয় হাসপাতালের খোলা জায়গায়। আর এতে করে বাতাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশকে করছে মারাত্মকভাবে দূষিত। দিন শেষে হাসপাতাল রোগীদের এসব বর্জ্য নিয়ে কোথায় ফেলা হয় তার সঠিক জবাব নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। চিকিৎসকেরা বলছেন হাসপাতালের এসব বর্জ্য এতই ক্ষতিকারক যে একজন সুস্থ রোগীকে অসুস্থ করতে পাঁচ মিনিটই যথেষ্ট।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550659000619.jpg

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন খাইরুল আলম বার্তা ২৪কে বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীদের এসব বর্জ্য বিনষ্ট করতে বিশেষ এক ধরণের ইনসিনারেসন মেশিনের প্রয়োজন। যা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেই। প্রতিদিনের রোগীদের যে বর্জ্য জমা হয় তা হাসপাতালের একপাশে ডাস্টবিনে রাখা হয় পরে সেসব বর্জ্য পৌরসভার গাড়ি এসে নিয়ে যায়। তবে পৌরসভার গাড়ি হাসপাতালের সেই বর্জ্য কোথায় ফেলে তার কোন তথ্য দিতে পারেননি জেলার এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল। তবে হাসপাতাল তুলনায় রোগীর চাপ তিনগুণ। ফলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য জমে হাসপাতালে। এসব বর্জ্য ওয়ার্ড থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়ে এসে ফেলেন হাসপাতালের ডাস্টবিনে। একসাথে অনেক বর্জ্য জমে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

গত এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালে লক্ষ করে দেখা গেছে মেডিসিন, সার্জারি ও গাইনি ওয়ার্ডের পাশে রাখা আছে বড় বড় প্লাস্টিকের ড্রাম। সারাদিন পর সন্ধ্যায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব ড্রামে ভর্তি হওয়া রোগীদের বর্জ্য নিয়ে গিয়ে হাসপাতালের ডাস্টবিনে ফেলছে। একটা সময় হাসপাতালে রোগীদের বর্জ্য জমতে জমতে তৈরি হয় আবর্জনার স্তূপ।

সদর হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডের বর্জ্য নিয়ে হাসপাতালের খোলা জায়গাতেই ফেলেন তিনি। পরে গাড়ি এসে ময়লাগুলো নিয়ে চলে যায়।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শামীম কবীর বলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তবে রোগীদের বর্জ্য ধংসের জন্য যে সরঞ্জাম প্রয়োজন তা হাসপাতালে না থাকায় বাধ্য হয়েই রোগীদের চিকিৎসাবর্জ্য ডাস্টবিনে ফেলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিভিল সার্জন খাইরুল আলম বার্তা২৪ কে বলেন, ‘সদর হাসপাতালের বর্জ্য শোধনাগারের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যা দূর হবে বলে আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।’

তবে সাধারণ মানুষ বলছে শুধুমাত্র আশ্বাস নয় হাসপাতালটিতে বর্জ্য শোধনাগার তৈরি করে পরিবেশসহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;