অবৈধ দখলে বারীণ মজুমদারের জন্মভিটা



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা , বার্তা২৪.কম
অবৈধ দখলে থাকা বারীণ মজুমদারের বাড়ির পুকুর / ছবি: বার্তা২৪

অবৈধ দখলে থাকা বারীণ মজুমদারের বাড়ির পুকুর / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বারীণ মজুমদার। শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রখ্যাত পণ্ডিত হিসেবে খ্যাত। পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদার পাড়ায় মুজুমদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সংগীত শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে আজীবন সংগ্রামী এই শিল্পীর জন্মভিটা এখন ভূমিগ্রাসীদের অবৈধ দখলে। আর অযত্ন অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছে তার সব স্মৃতি চিহ্ন। তাই স্মৃতি ধরে রাখতে শিগগিরই সংগ্রহশালা ও সংগীত একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি স্থানীয়দের।

তথ্যানুসারে, ১৯১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পাবনা পৌর এলাকায় রাধানগর মজুমদার পাড়ায় প্রখ্যাত জমিদার বংশ মজুমদার পরিবারে জন্ম নেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী ওস্তাদ বারীণ মজুমদার। জমিদার বাবা নীশেন্দ্রনাথ মজুমদার শাস্ত্রীয় সংগীতের ভক্ত ছিলেন। দেশ বিদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের নিয়ে বাড়িতে নিয়মিত বসত আসর। সেখান থেকেই সংগীতের প্রতি আসক্তি বারীণের। চর্চায় বাদ সাধেনি পরিবারও।

১৯৩৯ সালে লক্ষ্মৌ’র মরিস কলেজ থেকে সংগীতে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। দেশবিভাগের সময় ১৯৪৭ সালে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। জমিদারির বিষয় সম্পত্তি ফেলে মন প্রাণ সপে দেন শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রসারে। তাঁর প্রচেষ্টাতেই ১৯৬৩ সালে ঢাকার কাকরাইলে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম সংগীত মহাবিদ্যালয়। তালিম দিয়েছেন বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও। সংগীত সাধনায় তাঁর খ্যাতি ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপমহাদেশে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/22/1550844046954.JPG

অবদানের স্বীকৃতিতে পাকিস্তান আমলেই পেয়েছেন ‘তমঘায়ে ইমতিয়াজ’ খেতাব, ১৯৮৩ সালে একুশে পদক, ২০০২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার।

পাবনার খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী, আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি প্রলয় চাকী বার্তা২৪.কমকে জানান, ছোটবেলা থেকে জমিদারির বিত্ত বিলাসেই বড় হয়েছেন বারীণ মজুমদার। বেদখলে থাকা রাধানগরের পুকুর ঘাটের জমিদার বাড়িতে তিনি আসলে আশেপাশের জেলা থেকে গুণী শিল্পী ও যন্ত্রীরা ছুটে আসতেন। মজুমদার পরিবারের দান করা জমিতেই গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, রাধানগর মজুমদার একাডেমিসহ আরও নানা স্থাপনা।

তিনি বলেন, ‘সুর সাম্রাজ্যে নিমগ্ন থাকায় বিষয় সম্পত্তি নিয়ে ভাবনা ছিল না বারীন মজুমদারের। এমন উদাসীনতায় সমস্ত সম্পদ চলে যেতে শুরু করে ভূমিদস্যুদের দখলে। লজ্জায়, অভিমানে প্রতিবাদটুকু করেননি তিনি। এক সময় মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁইটুকুও বেহাত হলে তিনি মৃত্যুর আগপর্যন্ত আর পাবনায় আসেননি।

বারীন মজুমদারের জেষ্ঠ্য পুত্র সংগীত পরিচালক পার্থ সারথি মজুমদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পাবনায় আমাদের পূর্বপুরুষের বাড়ি। আমাদের ওইসব জমি ভূমিগ্রাসীরা জাল কাগজ তৈরি করে দখল করে নেয়। যাদেরকেই বাবা আশ্রয় দিয়েছেন, তারাই বাবার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/22/1550844060874.jpg

বারীন মজুমদারের কনিষ্ঠ পুত্র জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষের মাটিতে আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা নেই। আইনি লড়াইয়ে প্রতারণা প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও অবৈধ দখলদাররা আমাদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিচ্ছেন না। এ ব্যপারে আমরা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতা চাইছি।’

পাবনার জেষ্ঠ্য আইনজীবী পুলক কুমার চক্রবর্তী জানান, ১৯৭৮ সালে বারীন মজুমদারের মা মৃত কমলা রাণী মজুমদারকে জীবিত দেখিয়ে ২০০৫ সালে শোলে সূত্রে ডিক্রি করে বারীণ মজুমদারের সম্পত্তি নিজেদের করে নিতে চেষ্টা করে একটি চক্র। পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জালিয়াতির প্রমাণ পেয়ে এ সম্পত্তি বারীণ মজুমদারের উত্তরাধিকারীদের বলে রায় দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা নির্ধারিত সময়ে দখল না ছাড়ায়, প্রথম সাব জজ আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা পেলে বারীণ মজুমদারের সম্পত্তি উত্তরসূরিদের ফিরিয়ে দিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্মৃতি ধরে রাখতে যে কোনো উদ্যোগে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

এদিকে পাবনাবাসীর প্রত্যাশা বারীণ মজুমদার তথা তার উত্তরাধিকাররা পাবনার সম্পদ। তাদেরকে পাবনামুখি করতে, পাবনায় তাদের পদচারণার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;