বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রনবের ৬ শতাধিক চিত্রকর্ম



গনেশ দাস,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বগুড়া,বার্তা ২৪.কম
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রনব সরকারের তৈরি মানচিত্র / ছবি: বার্তা২৪

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রনব সরকারের তৈরি মানচিত্র / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কুল জীবনে ভাষণ শুনে এবং ছবি দেখে গ্রামে মানুষের বাড়ির দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকতেন প্রনব সরকার। সেই প্রনব সরকার এখন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ছয় শতাধিক চিত্রকর্ম তৈরি করেছেন। শখের বসেই গত চার বছরে নিখুঁত কারুকার্যে কাগজে এবং কাঠের উপর তৈরি করেছেন এসব চিত্রকর্ম।

প্রনব সরকার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারুকলা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। স্কুলের কাজ শেষে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শুধু ছবিই আঁকেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলা (দেশীয় চিত্রকলা) বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে পাশ করেছেন তিনি। ২০১১ সালে লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন রাজশাহী লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। তখন থেকেই শুরু করেন মেহগনি কাঠের উপর বিভিন্ন ডিজাইনে রং এবং তুলির আঁচড় দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তৈরির কাজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/02/1551535714327.jpg

২০১৪ সালে রাজশাহী থেকে চলে আসেন বগুড়ায়। যোগদান করেন টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে চারুকলা শিক্ষক হিসেবে। এরপর বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকায় ভাড়া বাসায় গড়ে তোলেন আর্ট গ্যালারি। সেখানে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকর্ম তৈরি করছেন তিনি।

প্রনব সরকারের তৈরি চিত্রকর্ম দেখে বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ খান রনির উদ্যোগে ২০১৬ সালে ‘হৃদয়ে মুজিব’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী একক চিত্রকর্ম প্রর্দশনীর আয়োজন করেন। এরপর গত চার বছরে প্রনব সরকারের চিত্রকর্ম হয়েছে ছয় শতাধিকেরও বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের শিববাটি এলাকায় তার ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়িটি যেন বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী আর মুক্তিযুদ্ধের ছবি দিয়ে সাজানো। বাসার প্রতিটি রুম ছাড়াও আনাচে কানাচে চিত্রকর্মে ভরপুর। বাসায় ছয় শতাধিক চিত্রকর্মের সঙ্গে বসবাস করেন প্রনব সরকার একাই। আর এই চিত্রকর্ম করতে গিয়ে বিয়ে করার সময় হয়ে ওঠেনি তার।

২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে চিত্রকর্মের প্রর্দশনীর আয়োজন করবেন বড় আকারে। এ কারণে দিনরাত কাজ করছেন সমান তালে। আর এই কাজের পেছনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যয় করেছেন ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা। স্কুলের সামান্য বেতনের সিংহভাগ ব্যয় হয় বাসা ভাড়া দিতে। যেটুকু অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে নিজের পেট চলে না ঠিকমতো। তাই চিত্রকর্মের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম কেনার টাকা জোগাড় করতে অবসরে টিউশনি করে থাকেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/02/1551534435451.jpg

মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা প্রনব সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্কুলে লেখাপড়া করা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে মুগ্ধ হয়ে পড়ি। এরপর গ্রামে মানুষের বাড়ির মাটির দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে শুরু করি। আর এই ছবি আঁকতে গিয়ে ছোট বেলাতেই স্বাধীনতা বিরোধীদের নানা কটু কথা শুনতে হতো। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়িনি।’

প্রনব সরকার মেহগনি কাঠ দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র। এতে বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলা থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের ১০০টি ছবি রয়েছে। মানচিত্রের মাঝখানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই মানচিত্রটি উপহার দিতে চান তিনি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সাহায্য চাই না। মানচিত্রটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারলেই আমার কষ্ট সার্থক।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;