বগুড়ায় নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে দুই ভাগ



গনেশ দাস,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বগুড়া,বার্তা
জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির বিশেষ সভা

জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির বিশেষ সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বগুড়ায় বিএনপি কার্যত: দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলায় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংকটে পড়েছে বিএনপি। এতে করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের একটি অংশের নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আর তাদেরকে অপ্রকাশ্যে সমর্থন করছেন জেলার কিছু নেতা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আরেকটি বড় অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যে।

গত শনিবার (২মার্চ) দলের বিশেষ সভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এবং তাদেরকে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলের সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেছেন বিএনপির কিছু নেতাদের পরামর্শেই অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় ৭টিতে বিএনপি এবং ৫টিতে জামায়াত নেতারা উপজেলা চেয়ারম্যান। আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের কোন চেয়ারম্যানই অংশ নিচ্ছেন না। বিএনপির ৭জন চেয়ারম্যানের মধ্যে একজন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। অপর ৬ জন চেয়ারম্যান আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১২টি উপজেলার মধ্যে শেরপুর, আদমদীঘি এবং সোনাতলা উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

অপর ৯টিতে বিএনপির নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মার্কা ধানের শীষ না হলেও বিএনপির পরিচয়ে তারা প্রচারণা করছেন। ৯টির মধ্যে ৫টি উপজেলায় আওয়ামীলীগেও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নিলেও বিএনপির তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার, ৪ জনকে শো-কজ এবং আরও ২৩জনকে বহিষ্কারের তালিকা তৈরি করেছে জেলা বিএনপি। আর এই তালিকা তৈরির পর থেকেই বিএনপির সংকট ফাটলে রূপ নিচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ের একপক্ষের নেতাকর্মীরা বলছে কতজনকে বহিষ্কার করতে পারে দেখব? আরেকপক্ষের নেতারা বলছে বহিষ্কৃতরা যেন কোনদিন দলে ফিরতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির চেয়ার পার্সনের সংসদীয় আসন। সেখানে আওয়ামীলীগ থেকে কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন সেটা আমি মেনে নিতে পারি না। এছাড়াও নেতাকর্মী ধরে রাখতে এবং তাদের পক্ষে কথা বলতে এই পদে নির্বাচন করা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘দল আমাকে বহিষ্কার করলেও ধানের শীষে ভোট দেয়ার অধিকার আমি নিজেই সংরক্ষণ করি।’

শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা বিউটি বেগম। তিনি বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘দল আমাকে এখনও বহিষ্কার করেনি। আমার সাথে বিএনপির অনেক নেতা রয়েছেন। পাশাপাশি জনসমর্থন রয়েছে ব্যাপক।

দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের কাজ করি, জনগণের ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতেই আমি এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির নেতা হলেও বিএনপি দ্বারাই নির্যাতিত হচ্ছি।’

এদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ের একাধিক বিএনপি নেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন, ‘আমরা রয়েছি সবচেয়ে বেশি বিপাকে। বিএনপির নেতার পক্ষে কাজ করলেও বিপদ আবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পর্কের নেতা প্রার্থী হয়েছেন তার পক্ষে কাজ না করলেও হচ্ছে না। আবার যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের অনেকে বলছেন বহিষ্কার তো এর আগেও অনেকেই হয়েছেন নির্বাচিত হতে পারলে দল একদিন টেনে নিবেই।’

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘রাজনীতি করলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। যারা মানবে না তাদেরকে রাজনৈতিক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বিএনপি এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দলে ফাটল এবং কোন সংকট নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই সেখানে অংশ নিয়ে লাভ কী? বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদেরকে কি জয়ী হতে দেয়া হবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। যারা তাদের পক্ষে কাজ করবে তাদের কেউকেও ছাড় দেয়া হবে না।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;