নদী খনন করে বানানো হচ্ছে খাল!



মাহবুব হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নাটোর, বার্তা২৪.কম
নদী খনন করে বানানো হচ্ছে খাল, ছবি: বার্তা২৪.কম

নদী খনন করে বানানো হচ্ছে খাল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আত্রাই এবং গুমনী নদী দু’টি খননের কথা ছিল ১২০ ফুট, কিন্তু খনন করা হচ্ছে ৮০-৮৫ ফুট। আর খননের মাটি ফেলা হচ্ছে নদীতেই। ফলে নদী এখন খালের রূপ ধারণ করছে।

জানা গেছে, পরিকল্পিতভাবে নদী খনন না করায় টাকার যেমন অপচয় হচ্ছে নদীর আয়তনও কমছে। ফলে নদী খননের সুফলের পরিবর্তে আগামী বর্ষায় দুভোর্গের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি জানার পর মাঝে কাজ বন্ধ থাকলেও কাজের কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

এদিকে, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ভুল স্বীকার করে প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নদীতে যে মাটি ফেলা হচ্ছে সেটা পরে সরিয়ে নেওয়া হবে ‘

তবে প্রকল্প পরিচালকের এই কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাদের প্রশ্ন- পরে এই মাটি সরানোর দায় কে নেবে? স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ৩০০ ফুট নদীর ৩০-৪০ শতাংশ জায়গা খনন করা হচ্ছে। এতে নদী কেটে নালা তৈরি করা হচ্ছে। আর দুই পাশ সঙ্কুচিত হয়ে নদীর প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিষয়টি জানতে পেরে বিআইডব্লিউটিএর সচিবসহ অন্য সংসদ সদস্যদের ফোন করে কাজ বন্ধ করে দেন। পরে যথাযথভাবে কাজ করার অঙ্গিকার পেলে কাজ আবারও শুরু হয়। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, নালার মতোই নদী খনন করা হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/04/1551661428113.jpg

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নদী দু’টির নাব্যতা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খনন করে মাটি নদীতেই ফেলছে। এতে নদীর উভয় পাশ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। বর্ষাকালে এসব মাটি ধুয়ে আবারও ভরাট হয়ে যাবে। তাই জনস্বার্থে খননকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’

তবে কেন নদী আগের মতোই খনন করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দরকার হলে আবারো কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। যতদিন না পর্যন্ত ভালোভাবে কাজ করবে, ততদিন কাজ বন্ধ থাকবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (প্রথম পর্যায়) ২৪টি নৌ-পথের নাব্যতার ফিরিয়ে আনতে ৪২ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে বিআইডাব্লিউটিএ। এই প্রকল্পের আওতায় পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার এরশাদনগর থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর রাবার ড্যাম পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আত্রাই ও গুমানী নদীর খননকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড। পরে ওয়েস্টার্ন ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেভাবে নদী খনন করছে, তাতে সুফলের পরিবর্তে দুর্ভোগ বাড়বে। নদী খনন করে খাল তৈরি করা হচ্ছে। ১৪ ফুট গভীরতায় খনন করার নিয়ম থাকলেও ৮-১০ ফুট খনন করা হচ্ছে।

উপজেলা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আতাহার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নদী খননের মাটি পাড়ের ওপরে ফেলার নিয়ম থাকলেও এখানে সেটা করা হচ্ছে না। মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নদীতেই ফেলা হচ্ছে। এতে কিছুদিন পরই নদী ভরাট হয়ে যাবে।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/04/1551661460780.jpg

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার দপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে নিয়ে সরেজমিনে নদী খনন কাজ দেখে এসেছি। তারা যেভাবে নদী খনন করছে, অনেকটা খাল কেটে কুমির আনার মতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘সিডিউলে ১২০ ফুট প্রশস্ত এবং ১৪ ফুট গভীর করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। তাদের ইচ্ছামতো নদী খনন করছে। তাছাড়া নদী খননের আগে তারা নদীর সীমানাও নির্ধারণ করেনি। ফলে সরকারি টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না।’

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের একাংশের সাইড ম্যানেজার মফিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দরপত্রে উল্লেখ আছে ৮০-৮২ ফুট প্রস্থ ও ১০ ফুট গভীরতা নদীটি খনন করতে হবে এবং খননের জায়গা থেকে ৩৮-৪০ ফুট দূরত্বে মাটি ফেলতে হবে। সেই মোতাবেক আমরা কাজ করছি।’

এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নদী খননের কোনো মাটি নদীর মধ্যে থাকবে না। সব সরিয়ে নেওয়া হবে। এতে নদী প্রশস্ত হবে এবং গভীরতাও বাড়বে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;