২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় একজন চিকিৎসক!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
একমাত্র চিকিৎসক রোগীকে পর্যবেক্ষন করছেন,  ছবি: বার্তা২৪.কম

একমাত্র চিকিৎসক রোগীকে পর্যবেক্ষন করছেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease
বরগুনার তালতলী উপজেলার ২০ শয্যা হাসপাতালে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। ফলে ওই এলাকার ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নির্ভর করছে একজন মাত্র ডাক্তারের ওপর।
 
জানা গেছে, হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসক সংকটে রোগীরা ভর্তি হতে পারছেন না। একজন চিকিৎসকের ওপর নির্ভরশীল পুরো উপজেলাবাসী, তাই রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
 
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/05/1551741264001.jpg
 
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগে শতাধিক রোগীর ভীড় থাকে সব সময়। তাদের স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন হাসপাতালের একমাত্র চিকিৎসক ডা. মো. মেজবাহ-উল-ইসলাম। সকালের শুরুতেই বহিঃর্বিভাগে রোগীদের দীর্ঘ সারি নিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন তিনি। তবে জরুরি বিভাগে মুমূর্ষু রোগীরা আসলে সেখানে দৌঁড়ে যান। পরে আবারও ফিরে যান বহির্বিভাগে। ততক্ষণে রোগীদের ভীড় বেড়ে যায় অনেকখানি।
 
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/05/1551741218129.jpg
 
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কয়েকজন জানান, ভোরে এসে বহির্বিভাগে সিরিয়াল দিলেও সেবা পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সেবা নিতে আসা তালতলীর বগী এলাকার কামরুন নাহার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গতকাল দুপুরে বহির্বিভাগে সেবা নিতে এসেছিলাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের কাছে যেতে পারিনি। তাই আজ সকালের শুরুতেই আবারো এসেছি। যদি আজও ডাক্তার দেখাতে না পারি তাহলে আগামীকাল আবার আসতে হবে।’
 
এদিকে জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষারত মাইনুল ইসলাম ফোরকান, খবিরুল আলম, আলমগীর হোসেন, মামুন ফরাজী বার্তা২৪.কম’কে জানান, পটুয়াখালী থেকে তালতলীর শুভসন্ধ্যা পর্যটন কেন্দ্রে এসেছিলেন তারা। তবে সেখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তারা আহত হন। তাই দ্রুত সেবা পেতে জরুরি বিভাগে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু চিকিৎসক তো দূরের কথা একজন নার্সও পাওয়া যাচ্ছে না।
 
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/05/1551741241675.jpg
 
সেবা নিতে আসা সুকুমার বড়ুয়া, রিপন বড়ুয়াসহ কয়েকজন রোগী বার্তা২৪.কম’কে জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎস্যক ও নার্স সংকটে খালি থাকে আন্তঃবিভাগ। চিকিৎসক না থাকায় দূরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
 
ভুক্তভূগীদের অভিযোগ স্বীকার করে হাসপাতালের একমাত্র চিকিৎসক ডা. মো. মেজবাহ-উল-ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ইচ্ছা থাকলেও  চাহিদামতো সেবা দিতে পারছি না। আর একজন চিকিৎসক থাকলে ভালো হতো।’
 
চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ূন শাহীন খান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিগগিরই  খালি পদ পূরণ করা হবে।’
 
প্রসঙ্গত, তালতলীর ২০ শয্যা হাসপাতালটিতে ৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছেন মাত্র একজন।
   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;