'গীতাঞ্জলি অপেরা'র কান্ডারি তকরিম খানের গল্প



এমএম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম
খল চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সেজেছেন তকরিম খান, ছবি: বার্তা২৪

খল চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সেজেছেন তকরিম খান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রাপালার এক সময়ের প্রতাপশালী খলনায়ক তকরিম উদ্দিন খান। জন্মস্থান কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের গৌড়দহ গ্রামে। তকরিম খান কুষ্টিয়া মুসলিম হাইস্কুল থেকে ১৯৬২ সালে এসএসসি পাশ করেন। এরপর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন।

কলেজে পড়ার সময়ই কুষ্টিয়া শহরতলীর মোহিনী মিলে চাকরি করা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মহিউদ্দিনের (প্রয়াত) অনুপ্রেরণায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নাম লেখান তিনি। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে পাওয়ার টেকনোলজি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি সম্পন্ন করে চাকরি ক্ষেত্রের অবারিত সুযোগকে কাজে না লাগিয়ে সংস্কৃতির টানে যোগ দেন যাত্রাপালা জগতে।

১৯৭২ সালে তকরিম খান, কুষ্টিয়া শহরতলী শালদহের আলাউদ্দিন ও অধ্যাপক আব্দুর রশীদ তিনজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন 'গীতাঞ্জলি অপেরা'। এই যাত্রাদলে তকরিম খান পরিচালক ও প্রধান খলনায়কের চরিত্রে একটানা অভিনয় করে সারাদেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। একযুগ সাফল্যের সাথে চলার পর যাত্রাদলটি আর্থিক অনিয়মসহ বেশকিছু কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

সেখান থেকে ১৯৮৩-৮৫ সাল পর্যন্ত তকরিম খান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জসিম উদ্দিন ভুঁইয়ার 'বলাকা' অপেরায় পরিচালক ও খলনায়ক হিসাবে কাজ করেন। বলাকা অপেরা ছেড়ে একই পদে কুষ্টিয়ার মোহাম্মদ আজাদের 'দি গীতাঞ্জলি' অপেরায় যোগ দেন। ১৯৮৮/৮৯ সালে তকরিম খান নিজ মালিকানা স্বত্ব নিয়ে আবারও গীতাঞ্জলি অপেরা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

কিন্তু অপসংস্কৃতি আগ্রাসনে এক বছর চলার পর গীতাঞ্জলি অপেরাও বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ২৫ বছর যাত্রাপালার সাথে যুক্ত দাপুটে অভিনেতা তকরিম উদ্দিন খান অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে নাচমহল ছবিতে দবির খা, কে দেবে জবাব ছবিতে আলী শাহ, কোহিনুর ছবিতে গোলাম কাদের, রক্ত দিয়ে কিনলাম ছবিতে মাসুদ খান চরিত্রে তকরিম খানের অনবদ্য অভিনয় আজও সেই সময়ের যাত্রাপালার দর্শকদের মনকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেন তিনি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম থাকলেও ভাতার তালিকায় এখনো নাম ওঠেনি তকরিম খানের। একই সাথে ১৯৭৩ সালে পৈত্রিক জমিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গৌড়দহ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে ২০০৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। ১৯৯২ সালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর উপজেলাস্থ মশান বাজারের অনতিদূরে প্রতিষ্ঠিত বলিদাপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও এই তকরিম উদ্দিন খান।

মিরপুর উপজেলার মশানে দিশা কমপ্লেক্স চত্বরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনেও দিশার সহযোগিতায় সপ্তাহব্যাপী যাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্প্রতি বার্তা২৪.কমের সাথে কথা তকরিম খানের। তিনি বলেন, 'আমার জীবনের অনেক সময় কেটে গেছে এই যাত্রাপালার পেছনে। এখন বয়স হয়েছে। আর পেরে উঠি না। তবুও এই যাত্রা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;