নীলফামারী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী, বার্তা২৪.কম
অভিযুক্ত নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪

অভিযুক্ত নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী জেলা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ অংশীদারি চুক্তির ভিত্তিতে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় পৌর সুপার মার্কেট। জেলা পরিষদের ৮২ শতক জমিতে এই মার্কেট নির্মাণ শেষে বেশ কয়েকটি শর্ত ভঙ্গ করেছেন বলে পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলা পরিষদের সাথে করা চুক্তি না মেনেই মার্কেটের নামকরণ করেছেন তিনি। এমনকি ইচ্ছে মতো দোকান বরাদ্দও করেছেন। শর্তনামা উপেক্ষা করে আদায় করা দোকানের ভাড়ার ২০ শতাংশ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে জেলা পরিষদকে।

দ্বিতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত মার্কেটটির চুক্তিতে বলা হয়েছিল, এর নামকরণ হবে ‘জেলা পরিষদ পৌরসভা মার্কেট'। কিন্তু চুক্তি ভঙ্গ করে তা করা হয়েছে ‘নীলফামারী পৌর সুপার মার্কেট'।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালের ১৫ জুন তৎকালীন রংপুর জেলা বোর্ডের সাধারণ অধিবেশনে, যে সমস্ত রাস্তা বা রাস্তার অংশ মিউনিসিপ্যাল বা টাউন কমিটির এলাকার মধ্যে অবস্থিত তা সংরক্ষণের জন্য মিউনিসিপ্যাল ও টাউন কমিটির কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সূত্রে নীলফামারী জেলা পরিষদের কাছে শহর মৌজার বেশ কিছু জমি পৌরসভায় হস্তান্তর করার দাবি জানান মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ।

এর প্রেক্ষিতে ‘নীলফামারী পৌরসভার অভ্যন্তরে জেলা পরিষদের রাস্তা জমি এবং জমিতে যা গাছপালা আছে তার মালিকানা জেলা পরিষদের অক্ষুণ্ন রয়েছে' মর্মে স্থানীয় সরকার বিভাগকে লিখিত প্রতিবেদন দেয় জেলা প্রশাসন।

জেলা পরিষদের বিভিন্ন দাগে ২০৯ শতাংশ জমি হস্তান্তরের অনুধোর জানিয়ে ২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগকে আবারও পত্র দেন পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। পরে ২০১২ সালে ২৯ জুলাই, উভয় কর্তৃপক্ষকে যৌথভাবে আলোচনা করে কোনো স্থাপনা তৈরি করে আয়ের উৎস সৃষ্টি করার পরামর্শ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/14/1552575912419.jpg

পরবর্তীতে জেলা পরিষদের কিছু জায়গা লিজ হিসেবে নিতে স্থানীয় সরকারের কাছে পত্র পাঠায় পৌরসভা। কিন্তু এ নিয়ে দুই পক্ষের দরদাম চললেও পরে তা ভেস্তে যায়। ২০১৪ সালের ১১ অগাষ্ট জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়, চুক্তি না করে পৌরসভা বহুতল কোনো মার্কেট নির্মাণ করতে পারবে না।

এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদকে ২০ শতাংশ ও নীলফামারী পৌরসভাকে ৮০ শতাংশ হিস্যা বণ্টনের শর্ত রেখে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

কিন্তু মার্কেট নির্মাণের পর চুক্তি ভঙ্গ করলে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মেয়রের কাছে ব্যাখ্যা চান জেলা পরিষদের তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুল আলম। তার উত্তর দেওয়া তো দূরে থাক, মার্কেটের দোকানগুলো ভাড়া ও বরাদ্দের তালিকাও জেলা পরিষদে পাঠায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। এমনকি, মার্কেট থেকে অর্জিত আয়ের ২০ শতাংশের কিছুই এ পর্যন্ত জেলা পরিষদকে দেওয়া হয়নি।

প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল উদ্বোধন হওয়া এই মার্কেটে এক বছর যেতে না যেতেই ফাটল ধরে। ছাদ দিয়ে পানিও পড়ে। ভারী কোনো যানবাহন রাস্তায় চলাচল করলেই দোকানের দেয়াল কেপে ওঠে!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/14/1552575893336.jpg

এসব বিষয়ে জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রশাসক ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক জানান, নীলফামারী জেলা পরিষদ ও পৌরসভার আয় বর্ধনে দুইটি মার্কেট নির্মাণে যে যৌথ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, তার ৯৯ শতাংশ বরখেলাপ করেছেন পৌর মেয়র। বেআইনিভাবে জোরপূর্বক চুক্তি ভঙ্গ করেছেন তিনি। আমি প্রশাসক থাকাকালে কয়েক দফা নোটিশ পাঠিয়েও এর কোনো সদুত্তর পাইনি। চুক্তি অনুযায়ী কোনো অর্থও পরিশোধ করেনি পৌরসভা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, রংপুর জেলা বোর্ড এই জমিগুলো পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই জমিগুলো নীলফামারী পৌরসভা সংরক্ষণ করে আসছে। যেহেতু গেজেট নেই, সেহেতু জেলা পরিষদ ওই সব জমি দাবি করছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে মামলা চলমান আছে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল কবীর বলেন, পৌরসভা যে জমিগুলো দাবি করছে, তাদের সঠিক কোনো কাগজ পত্র নেই। সিএস রেকর্ড, আরএস রেকর্ড জেলা পরিষদের নামে। তাছাড়া জমি দাবি করে যে পত্রটি দাখিল করেছে, তা তৈরি করা। হাইকোর্টে জেলা পরিষদ এবং পৌরসভা উভয়ের সমস্ত কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;