বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ বাড়ছে



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
বগুড়া সদরের গোকুল এলাকার একটি ফুলের নার্সারি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বগুড়া সদরের গোকুল এলাকার একটি ফুলের নার্সারি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরণের ফুলের চাষ দিন দিন বাড়ছে। ফুল চাষ করে অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় অনেকেই কৃষি জমিতে খাদ্য শস্যের পরিবর্তে ফুল চাষ করছেন। আবার অনেক বেকার যুবক নিজের জমি না থাকায় অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফুল চাষ করছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত ছয় বছরে বগুড়া জেলায় ২৪ হেক্টর কৃষি জমিতে ফুলের চাষ বেড়েছে। পাশাপাশি বিদেশি ফুল চাষ করে আমদানি কমাতে চেষ্টা করছেন স্থানীয় ফুল চাষীরা।

ফুলচাষীরা জানান, বগুড়া জেলায় কমপক্ষে ১৫ প্রকারের ফুলের চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, বাগান বিলাস, চন্দ্র মল্লিকা, ডালিয়া, কসমস, দোলন চাঁপা, নয়নতারা, মোরগঝুটি, কলাবতী ও জবা প্রধান।

এসব ফুলের অধিকাংশ কয়েক বছর আগে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বগুড়ায় আসতো। কিন্তু এখন বগুড়ায় চাষ করা ফুল এ জেলার চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/15/1552610111509.jpg

বগুড়া শহরের ফুল বব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন দিবস ও বিয়ের অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার ছিল। কিন্তু সৌখিন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় ফুল অনেকের কাছে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।’

‘শহরের অসংখ্য মানুষ এখন বাসার জন্য প্রতিদিন ফুল কিনে থাকে। এছাড়াও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ফুল কেনা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন দিবসে শহর ছাড়াও গ্রামের মানুষের মধ্যেও ফুল কেনার প্রবণতা বেড়ে গেছে।’

দেশি ফু্লের পাশাপাশি মানুষ এখন ঝুঁকছেন বাহারি রঙের বিদেশি ফুলের দিকে। এ কারণে চাহিদা মেটাতে আমদানি করতে হচ্ছে বিদেশি ফুল। তবে আমদানি কমাতে এরই মধ্যে বগুড়া সদরের গোকুল এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি জাতের ফুলের চাষ শুরু হয়েছে।

বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয় সদর উপজেলায়। এর মধ্যে বাঘোপাড়া, গোকুল মাহাস্হান এলাকায় সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয়। এসব এলাকায় প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায়, ক্ষেত-খামারে গড়ে উঠেছে কম বেশি ছোট বড় নার্সারী।

গোকুল উত্তরপাড়া গ্রামের ফুলচাষী সাবলু মিয়া জানান, তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন। এই জমিতে অন্য ফসল চাষ করে লাভ তো দুরের কথা খরচই উঠতো না।

তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয় বছরে। এ কারণে কৃষি জমিতে অন্য ফসল চাষ বন্ধ করে দিয়ে ফুল চাষ শুরু করছেন।

গোকুল এলাকার ফুলচাষী আব্দুল হান্নান বলেন, ‘চার বছর ধরে ফুল চাষ করে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছি। পাশাপাশি নার্সারিতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/15/1552610078587.jpg

মহাস্থান এলাকার জসিম, বেলাল ও মনোয়ার জানান, তাদের নিজের কোনো জমি ছিল না। তারা চাকরির পেছনে না ঘুরে অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফুল চাষ শুরু করেন। এখন তারা সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা ছাড়াও নিজস্ব নার্সারির জন্য জমি কিনেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘জেলার সব উপজেলাতেই কম বেশি ফুল চাষ হয়ে থাকে। তবে বগুড়া সদর, সোনাতলা, শিবগঞ্জ ও শেরপুর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলচাষ হয়ে থাকে বেশি।’

তিন জানান, এ জেলায় ২০১২ সাল থেকে ফুলের চাষ বাড়ছে। ২০১২ সালে বগুড়া জেলায় ফুলের চাষ হয়েছিল সাড়ে চার হেক্টর জমিতে। আর এখন ফুলের চাষ হচ্ছে ৩০ হেক্টর জমিতে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;