বেনাপোল বন্দরে চলছে শুল্ক ফাঁকির মহোৎসব!



আজিজুল হক, স্টাফ করসেপন্ডেন্ট, বেনাপোল (যশোর), বার্তা২৪.কম
পণ্য নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় ট্রাক / ছবি: বার্তা২৪

পণ্য নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় ট্রাক / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরে বিভিন্ন সংস্থার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেওে চলছে অবৈধভাবে পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির মহোৎসব। অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় কোনোভাবেই থামছে না এসব কার্যক্রম।

সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এসব অবৈধ আমদানির সাথে কেবল আমদানিকারক ও  সিঅ্যান্ডএফ নয়, কাস্টমস এবং বন্দরের কর্মকর্তারাও জড়িত থাকে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অনিয়মে মূল সহযোগিতাকারী কাস্টমস ও বন্দরের সংশিষ্টরা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

অর কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা এসব কর্মকাণ্ডের চেষ্টা  চালালেও শুল্ক ফাঁকি রোধে কাস্টমস ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আন্তরিক হয়ে কাজ করছেন তাদের সদস্যরা। অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতা পেলে কারও ছাড় নেই।

এদিকে বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল ৫টায় বৈধ পথে চোরাচালানের মাধ্যমে আমদানির অভিযোগে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের জিলেট সেভিং ফোমের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। তবে এ সময় ভারতীয় ট্রাক জব্দ করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি।

অভিযোগ উঠেছে, এর অবৈধ আমদানিকারক সনাক্ত হলেও অনেকে ফাঁসতে পারেন, তাই কেউ কেউ বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, গোপন সংবাদ পাওয়ায় পণ্য চালান নিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাক বেনাপোল স্থলবন্দরের বাংলাদেশে প্রবেশের সাথে সাথে নজরে রাখে কাস্টমসের ইনভেসটিগেশন রিসার্চ অ্যান্ড ম্যানজেমন্টের সদস্যরা। এক পর্যায়ে ট্রাকটি বন্দরের ৯নম্বর পণ্যাগারে কিছু পণ্য খালাস করে দাঁড়িয়ে থাকে। এ সময় ট্রাকে থাকা অবশিষ্ট পণ্য অবধৈভাবে এসেছে নিশ্চিত হয়ে ট্রাকটি আটক করা হয়। পরে ওই ট্রাকের ভেতর থেকে ৬৫১টি কাটনে ৭ হাজার ৮১২টি জিলেট সেভিং ফোমের বোতল পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। আটককৃত পণ্যের প্রতিটি কাটনে (প্রক্টার অ্যান্ড গ্যামবল বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড) লেখা ছিল। তবে আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ পণ্য চালানটি তাদের নয় বলে জানিয়েছে।

এ বন্দরের একজন সাধারণ আমদানিকারক ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অবৈধ আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ সময় কেবল জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।  তাদের কারণে আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা ভালভাবে ব্যবসা করতে পারি না। আর কাস্টমস ও বন্দরের সহযোগিতা ছাড়া শুল্ক ফাঁকি হয় না। কিন্তু তারা তো থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।  অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা কঠিন হলে তবেই অবৈধ আমদানি রোধ হবে।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কিছু মানুষের কারণে এ বন্দরের বদনাম হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তদের সনাক্ত করা দরকার। এ ক্ষেত্রে আমরা কাস্টমসকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী  বলেন, ‘একটি সংঘ বদ্ধ চক্র এ চোরাচালানের সাথে জড়িত। তারা বিভিন্নভাবে শুল্কফাঁকির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা সজাগ থাকায় গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি চালান আটক করা হয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।  অভিযুক্ত যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা যায়, দেশে ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে চলমান ১৩টির অন্যতম বেনাপোল স্থলবন্দর। ১৯৭২ সাল থেকে এ পথে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক লেনদেন চলছে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় পেয়ে থাকে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজের কারণে প্রথম থেকে এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি দেখা যায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্যের নিরাপত্তায় তিনটি সংস্থ্যা আনসার, প্রেমা ও আর্মস ব্যাটালিয়ন পুলিশ মিলে প্রায় তিন শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে।

২০১২-১৩ অর্থবছরের বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাস্টমসকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় দুই হাজার ৬২০ কোটি টাকা। বছর শেষে ঘাটতি হয়েছে ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। বছর শেষে ঘাটতি ছিল ১৯৪ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এতেও ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা । প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে  আদায় হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ  টাকা। ঘাটিত রয়েছে ৬০৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

বন্দরের অব্যবস্থাপনায় আমদানি কমে যাওয়া আর মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ফাঁকির কারণে  এ বছর নির্ধারিত পরিমাণে রাজস্ব আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;