শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়ি

বিশ্বকবির সন্ধানে দর্শনার্থীদের ভিড় যেখানে সারাবছর



রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সিরাজগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক কাছারিবাড়ি, ছবি: বার্তা২৪

সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক কাছারিবাড়ি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক কাছারিবাড়ি। তিন তৌজির অন্তর্গত ডিহি শাহ্জাদপুরের জমিদারী এক সময় নাটোরের রাণী ভবানীর জমিদারীর একটি অংশ ছিল। ১৮৪০ সালে শাহ্জাদপুরের জমিদারী নিলামে উঠলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৩ টাকা ১০ আনায় এই জমিদারী কিনে নেন।

জমিদারীর সাথে সাথে শাহ্জাদপুরের কাছারি বাড়িটিও ঠাকুর পরিবারের হস্তগত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ১৮৯০ থেকে ১৮৯৭ পর্যন্ত আট বছর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহ্জাদপুরে জমিদারী দেখাশোনার কাজে মাঝে মাঝে আসতেন, সাময়িকভাবে বসবাস করতেন। তিনি স্থায়ীভাবে থাকতেন কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। সম্ভবত এ কারণেই শিলাইদহের বাড়িটির নাম কুঠিবাড়ি ও শাহ্জাদপুরের বাড়িটি কাছারিবাড়ি নামে পরিচিত।

শাহ্জাদপুরের এ কাছারিবাড়িটি ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত ৩১ দরজা বিশিষ্ট একটি দোতলা ভবন। প্রায় দশ বিঘা জমির উপর নির্মিত ভবনটির দৈর্ঘ্য ২৬ দশমিক ৮৫ মিটার ও প্রস্থ ১০ দশমিক ২০ মিটার এবং উচ্চতায় ৮ দশমিক ৭৪ মিটার। ভবনটির প্রতি তলায় সিঁড়িঘর ব্যতীত বিভিন্ন আকারের সাতটি ঘর রয়েছে। ভবনটির উত্তর-দক্ষিণে একই মাপের বারান্দা। বারান্দায় গোলাকৃতি থামের উপরাংশের অলংকরণ, বড়মাপের দরজা, জানালা ও ছাদের উপরের প্যারাপেট দেয়ালে পোড়ামাটির কাজ বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

ভবনটিতে রবীন্দ্রনাথের জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র এবং এ বাড়িতে ব্যবহৃত আসবাবপত্র নিয়ে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর করা হয়েছে। ভবনটির পশ্চিমে বকুল গাছের গোড়ায় বৃত্তাবার সান বাঁধান একটি মঞ্চ আছে। এটি ‘রবীন্দ্র মঞ্চ’ বলে পরিচিত। এখানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/23/1553295895452.jpg

নিচতলার পশ্চিম দিকের ঘরটিতে ছিল কবির লাইব্রেরি। বর্তমান উত্তর দিকের বারান্দা দিয়ে ঢুকেই প্রথম যে ঘরটি সেখানেই কাচারিবাড়ির লাইব্রেরি। বাড়ির সামনে রয়েছে ফুলের বাগান। পাশে নির্মিত হয়েছে ‘রবীন্দ্র স্মৃতি অডিটরিয়াম’। এতে রয়েছে আধুনিক রীতি সংবলিত ৬০০ আসনের ব্যবস্থা।

শিলাইদহ থেকে শাহ্জাদপুর যাতায়াতের প্রধান উপায় ছিল নৌকা। আর পতিসরেও যাতায়াতের উপায় ছিল ওই একই। পরস্পর দূরে অবস্থিত এ তিনটি জমিদারিতে যোগাযোগের একমাত্র সহজ সূত্র ছিল জনপথ। এ জনপথে যাতায়াতের প্রধান বাহন ছিল জলযান অর্থাৎ নৌকা বা বোট।

কাছারিবাড়ি সংলগ্ন রয়েছে শাহ্জাদপুর বাজার। যেখানে সপ্তাহে রোববার ও বুধবার বাজার বসে। এ দু’দিন সারা দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন তাঁতে বোনানো বিভিন্ন ধরনের কাপড় কিনতে। এ সময় জাদুঘর দেখার সুযোগ কেউ হারান না। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দু‘দিন কাছারিবাড়িতে দর্শনার্থীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের।

জাদুঘরটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- সোফা, পালকি, ঘুমানোর খাট, চায়ের কেটলি, লনটেনিস খেলার র‌্যাকেট, খড়ম, চিনামাটির জগ, চিনামাটির পানির ফিল্টার, পিয়ানো, শ্বেত পাথরের গোল টেবিল, চিঠি লেখার ডেস্ক, কাঠের পুজা মণ্ডপ, সোফাসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। সবচেয়ে আকষর্ণীয় বিষয় ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ২৮ ভাদ্র অর্থাৎ প্রায় ১৯০০ সালের লেখা একটি চিঠি জাদুঘরকে সমৃদ্ধ করেছে। চিঠিটি নওগাঁ থেকে সংগৃহীত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/23/1553295875688.jpg

এই চিঠিতে তাঁর পুরো জীবন বৃত্তান্ত পাওয়া যায়। এর উল্লেখযোগ্য অংশ্য হচ্ছে- ১৮৬১ খ্রীষ্টাব্দের ৬ মে কবি জন্মগ্রহণ করেন। ১৬ বছর বয়সে ভারতী পত্রিকার মাধ্যমে গদ্য লেখা শুরু। ১৭ বছর বয়সে তাঁর মেজো দাদার সঙ্গে বিলেতে যান। ২৩ বছর বয়সে তিনি মৃণালিণী দেবীকে বিয়ে করেন। বন্ধু চন্দ্রমজুমদারের বিশেষ অনুরোধ কবি বঙ্গদর্শন পত্রিকা সম্পাদনের ভার গ্রহণ করেছিলেন। তা পাঁচ বছর চালানোর পর এক বছর তিনি ভারতী পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের বিশেষ রচনাবলীর মধ্যে রয়েছে চারটি কাব্যগ্রন্থ। সোনারতরীতে বৈষ্ণব কবিতা, দুই পাখী, আকাশের চাঁদ, পুরস্কার, হৃদয়, যমুনা, ব্যর্থ যৌবন, ভরা ভাদরে, প্রত্যাখান লজ্জা। চিত্রাতে রয়েছে চিত্রা, শীতে ও বসন্তে, নগর সঙ্গীত। চৈতালীতে রয়েছে নদী যাত্রা, মৃত্যু মাধুরী, স্মৃতি, বিলয়, প্রথম চুম্বন, শেষ চুম্বন, যাত্রী, তৃণ, ঐশ্বর্য, স্বার্থ, প্রেয়সী, শান্তি মন্ত্র, কালিদাসের প্রতি, কুমার সম্ভব গান, মাসসলোক, কাব্য, প্রার্থনা, ইছামতি, নদী, শুশ্রূষা, আশিষ গ্রহণ, বিদায়। কল্পনাতে নব বিরহ, লজ্জিত, বিদায়, হতভাগ্যের গান, কাল্পনিক, যাচনা, সংকোচ, মানস, প্রতিভা। ছোট্টগল্প পোস্টমাষ্টার, রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা, ব্যবধান, তারা প্রসন্নের কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ক্ষুধিত পাষাণ, অতিথি। মেয়েলী ছড়া নাটক বির্সজন ও পঞ্চভূত প্রবন্ধের অংশ বিশেষ লিখেছেন। ছিন্নপত্রাবলী রয়েছে ৩৮টি চিঠি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;