তালিকায় নাম নেই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিস উল্লাহ ও যুদ্ধ শেষে পাওয়া সনদ, ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিস উল্লাহ ও যুদ্ধ শেষে পাওয়া সনদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭০ সাল, বয়স তখন ২০/২১। টগবগে এক যুবক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বাধীনতা যুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন করে ফেরেন নিজ গ্রামে। যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে হারান একটি পা।

কিন্তু স্বাধীনতার পর অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা সাজলেও তার ভাগ্যে জুটেনি কিছুই। বর্তমানে অভাব অনটনের সংসারে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছেন এই বীর যোদ্ধা।

বলছিলাম, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিস উল্লাহর কথা। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানীর স্বাক্ষরিত সনদ থাকলেও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিছ উল্লাহর নাম নেই বর্তমান কোন তালিকায়। তিনি নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়নের পরকুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত জলিল উল্লাহর ছেলে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যান ইদ্দিছ উল্লাহ। তিনি ৬নং সেক্টরে উইং কমান্ডার মোহাম্মদ খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি পাক হানাদার বাহিনীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইদ্দিছ উল্লাহকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অবদানের জন্য তৎকালীন বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোহাম্মদ আতাউল গনী ওসমানী’র স্বাক্ষরকৃত সনদপত্র প্রদান করা হয়।

কিন্তু সময়ের বিবর্তনে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় ঠাঁই পায়নি ইদ্দিছ উল্লাহর নাম। এমনকি সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন যুদ্ধাহত এই মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য ১৯৯৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখা থেকে সুপারিশও করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাননি তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিছ উল্লাহ বলেন, 'আতাউল গনি ওসমানী স্যারের সাথে আমার দুইবার দেখা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র ওনার হাত থেকে আমি গ্রহণ করি।'

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, 'প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমি অবহেলিত। কষ্টে জীবনযাপন করছেন। অথচ বর্তমানে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে আছেন। সরকারি সুযোগ সুবিধাও নিচ্ছেন তারা।'

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার কমান্ডার নূর উদ্দীন বলন, 'অনলাইনে যারা আবেদন করেছিল তাদের যাচাই বাচাই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত তালিকা পাঠানো হয়ে গেছে। এখন আর কোন সুযোগ নেই। যদি পরবর্তীতে আবার আবেদন করার জন্য সরকার সুযোগ দেয় আর উনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;