৪৩৭ বছরের পুরনো শেরপুরের খেরুয়া মসজিদ



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা ২৪.কম
খেরুয়া মসজিদ / ছবি: বার্তা২৪

খেরুয়া মসজিদ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খেরুয়া মসজিদ ৪৩৭ বছরের পুরাতন প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। ১৫৮২ সালে সুলতানী ও মুঘল স্থাপত্য শৈলীর সমন্বয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এখনো মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লীরা।

ঈদের নামাজও আদায় করা হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এছাড়া প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ মসজিদটি দেখতে আসেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর পৌর শহরের খন্দকার টোলায় খেরুয়া মসজিদের অবস্থান। ১৫৮২ সালের জানুয়ারি মাসের কোনো এক মঙ্গলবারে ওই এলাকার জমিদার জওহর আলী কাকশালের ছেলে মীর্জা মুরাদখান কাকশাল মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মসজিদের সম্মুখভাগের দেয়ালে কাল পাথরে খোদাই করে লেখা হরফগুলো দর্শকদের সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ইট ও চুন-সুরকি দিয়ে গাঁথুনি ছাড়াও মসজিদটি নির্মাণে কালো পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। চার কোনায় চারটি চূড়া ছাড়াও শীর্ষভাগে তিনটি গম্বুজ আছে। মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণ পাশের মাঝখানে দুইটি এবং পূর্ব পাশে তিনটি প্রবেশ পথ আছে। প্রবেশপথগুলোতে কখনোই দরজা ছিল না। জানলাবিহীন এই মসজিদের প্রবেশ দ্বারের ডান পাশের একটি শিলালিপি অনেক আগেই পাকিস্তানের করাচি জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়। বাম পাশের লিপিটি এখনো অক্ষত রয়েছে।

শেরপুরের ইতিহাস নিয়ে অধ্যক্ষ রুস্তম আলীর লেখা বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, কথিত আছে- দুটি পায়রা মসজিদের জিম্মাদার ফকির আব্দুস সামাদের কাছে এসে অলৌকিক বাণীতে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এ কারণে মসজিদের কার্নিশে পায়রার জন্য ছোট ছোট কক্ষ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে পায়রাগুলোকে শাজাহাদপুরের ঐতিহাসিক মসজিদে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে পাখির বাসা রয়েছে। বহু বছর পরিত্যক্ত থাকার পর আনুমানিক আড়াইশ বছর আগে মসজিদটির সংস্কার করা হয় এবং তখন থেকেই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হচ্ছে।

আরও জানা গেছে, বর্তমানে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়। সংস্কারের সময় মসজিদের মাঠে একটি কবরের চিহ্ন পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, কবরটি মসজিদের জিম্মাদার ফকির আব্দুস সামাদের। সেই থেকেই কবরটি সংরক্ষণ করা হয়।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে মসজিদ দেখতে আসা গোলাম মোস্তফা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘লোকমুখে মসজিদের অনেক অলৌকিক গল্প শুনেছি। এখানে কাজে আসার সুযোগে মসজিদটি দেখতে আসলাম।’

মসজিদের কেয়ারটেকার আব্দুস সামাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মসজিদের ভেতর একসঙ্গে ৯০ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে জুমার দিন মানুষ বেশি হওয়ায় মাঠে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ জন দর্শণার্থী এখানে আসেন। যাদের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ রাখা হয়।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;