ফের সংঘর্ষ প্রবণ হয়ে উঠেছে শৈলকুপা!



সোহাগ আলী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝিনাইদহ, বার্তা ২৪.কম
শৈলকুপায় সংঘর্ষে ভাংচুর করা ঘর, ছবি: বার্তা২৪

শৈলকুপায় সংঘর্ষে ভাংচুর করা ঘর, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। জেলার কুষ্টিয়া, মাগুরা ও রাজবাড়ী সীমান্তে অবস্থিত শৈলকুপা উপজেলা। স্বাধীনতার পর থেকে সংঘর্ষ প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত শৈলকুপা। এখানে যেমন শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি তেমনি আবেগপ্রবণ এ এলাকার মানুষ। দেশের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যাও বেশি এ উপজেলায়।

গত ১০ বছরে এ উপজেলায় সংঘর্ষ তেমন একটা ঘটেনি। কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে যেন পুরোনো চেহারায় ফিরেছেন এলাকার মানুষ। নির্বাচনের আগে ও পরের কয়েকদিন সহিংসতা যেন কমানো যাচ্ছে না। তীব্র হয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যেই বিভক্তিও; চলছে সহিংসতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554145635790.jpg

নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নায়েব আলী জোয়াদ্দার দলের মনোনয়ন পান। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা। এ কারণে দলের নেতাকর্মীরা দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় উপজেলা থেকে গ্রাম পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে রেষারেষি ও শত্রুতা।

দলের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ মন্নু নৌকা প্রতীকে প্রার্থীর সমর্থন করেন। তার সাথে ছিলেন শৈলকুপা পৌর কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম। দলের ইউপি চেয়ারম্যানগণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। অংঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারণা শুরু করেন। নেতাকর্মীর মধ্যে একে অপরের প্রতিহিংসাত বিদ্বেষ চলতে থাকে। নির্বাচনের আগে ছোট খাটো দুই একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554145622270.jpg

নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা জয়ী হন। এরপর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। চলতে থাকে বাড়িঘরে হামরা, ভাংচুর ও মারপিট।

ভোট শেষে রাতেই দোহা নাগিরাট গ্রামে নৌকা সমর্থক তিন জনের বাড়িতে হামলা চালাই সতন্ত্র আনারস প্রতিকের সমর্থক লোকজন। তারা ব্যাপক ভাংচুর করে। বগুড়া গ্রামে নৌকা সমর্থক আবু মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। পরের দিন পাঁচপাখিয়া গ্রামে পাঁচটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। গত ২৫ মার্চ গবিন্দপুর গ্রামে নৌকা সমর্থক তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে এক শিশুসহ পাঁচজনকে হাতুরি পিটিয়ে আহত করা হয়। ওই দিনই উপজেলার ধর্মপাড়া গ্রামে নৌকা সমর্থকদের ১০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়, তুলে নেওয়া হয় মাঠের ফসল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554145606750.jpg

২৬ মার্চ রুপদা গ্রামে নৌকা সমর্থক পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত কর হয়। ২৭ মার্চ ভুলুন্দিয়া গ্রামে নিয়ামত আলীকে পিটিয়ে আহত করে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা। রাতে তার বাড়ি থেকে একটি খাশি ছাগল লুট করা হয়। তার বাড়ির সমনে ওই ছাগল জবেহ করে ভুড়িভোজ করে। উপজেলার পুটিমারি গ্রামে কয়েক জনের বাড়িঘরে হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।

ধর্মপাড়া গ্রামের কয়েকজন বলেন, ভোটের দিন রাত থেকেই তাদের উপর অথ্যচার শুরু হয়। কেউ কেউ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মাঠে থাকা পেয়াজ উঠাতে দিচ্ছে না।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুপদা গ্রামের কাজী তোয়াজ উদ্দীন অভিযোগ করেন, তারা আওয়ামী লীগ করে এবং নৌকায় ভোট দিয়েছে এজন্য আনারস সমর্থরা বাড়িতে ঢুকে তাকে তার ছেলে সাইদুর কাজীকে ও নাতনি শিলাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554145589918.jpg

ক্ষোভের সাথে তিনি বলেন, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তবুও নৌকায় ভোট দিয়ে মার খেতে হচ্ছে, এরপর তারা আর আওয়ামী লীগ দল করবে না।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) আবু তাহের বলেন, নির্বাচনের আগে ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে শৈলকুপায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী সমর্থকদের মাঝে যে মারামারি ভাংচুর চলছে, তা কোনো সভ্য মানুষের কাম্য নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী একত্রে বসে এ সমস্যা মিটিয়ে ফেলবে। প্রয়োজনে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই সহিংসতায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সহিংসতা বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। যারা অশান্তির সাথে জড়িত তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের উদ্যোগে বিশেষ আইন শৃংখলা বিষয়ক সভা করা হয়েছে। সহিংসতার সাথে জড়িতদে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হেয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;