কক্সবাজারের হোটেলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থায় ক্রটি, দুর্ঘটনার শঙ্কা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি হোটেলের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখছেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি হোটেলের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখছেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল। তবে এসব হোটেল-মোটেলের অধিকাংশে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা গেছে, একটি কক্ষে নয়টি অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কথা থাকলেও আছে ৪টি, হাইসন্টে পয়েন্ট অকেজো, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার যত্রতত্র, রিজার্ভে পর্যাপ্ত পানি নেই এবং জরুরি মুহূর্তে বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থাও নেই। ফ্লোর মার্কিং নাই। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

যদিও গত ১ এপ্রিল অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পরীক্ষায় অভিযানে নামে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থায় ক্রটি থাকায় সি ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্টকে ৫০ হাজার, বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজকে ৩০ হাজার ও ওয়েন্ডে ট্রেসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর ক্রটি সাড়াতে ২০ দিন সময় দেয়া হয়। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক অহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা আসি আনন্দ করতে বা একটু সময় পার করতে। ফলে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতে যদি যথাযথ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে খুবই খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হবে। এখন থেকে হোটেল মালিকদের পরিকল্পনা নেয়া উচিৎ। কারণ দুর্ঘটনা কাউকে বলে আসবে না।’

পর্যটক নাদিয়া-সুমন দম্পতি জানান, হোটেলগুলোর সিঁড়ি খুবই ছোট। কোনো দুর্ঘটনা হলে বের হওয়াও কষ্ট হয়ে পড়বে। তাই দ্রুত বড় সিঁড়ি বা বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় দুর্ঘটনায় হোটেল থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/03/1554251870010.jpg

বেস্ট ওয়ের্স্টা হেরিটেজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের হোটেলের সবকিছু ঠিক আছে। রিজার্ভে পানি ও অগ্নিনির্বাপক গ্যাসের সিলিন্ডারের সংখ্যা কিছুটা কম আছে। শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমাদের হোটেলে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।’

সি ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সেভাবে সব হোটেলের বিরুদ্ধে নিলে ভালো হবে। তবে হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের উদ্যোগ খুবই ভালো। এটার ধারাবাহিকতা থাকা দরকার।’

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সারাদেশে বিভিন্ন ঘটনা ঘটায় এসব অভিযান চালানো হচ্ছে। যদি কেউ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থায় ক্রটি রাখে তাহলে তাদের শুধু জরিমানা নয়, আইনি শাস্তিও দেয়া হবে। প্রত্যেক হোটেলে পর্যায়ক্রমে এ অভিযান চালানো হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসসহ সকল ডিপার্টমেন্টকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো হোটেল বা বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থায় যাতে ক্রটি না থাকে। ত্রুটি থাকলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;