ইউপি সদস্যের কারসাজিতে অন্য স্থানে সেতু নির্মাণ!



মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
ইউপি সদস্যের কারসাজিতে অন্য স্থানে সেতু নির্মাণ। ছবি: বার্তা২৪.কম

ইউপি সদস্যের কারসাজিতে অন্য স্থানে সেতু নির্মাণ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামে নতুন সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ওই সেতুটি এক স্থানের পরিবর্তে অন্য স্থানে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দকৃত স্থানে সেতু নির্মাণ না করে অন্যত্র স্থানান্তর করায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী বলছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মুন্সী কারসাজি ও উৎকোচের বিনিময়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসের নাম ভাঙিয়ে এক জায়গার সেতু অন্য জায়গায় নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন।

জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কচুয়ার বিতারা গ্রামের বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর সেতু নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন হয়। যার স্মারক নং-৫১.০১.১৩৫৮.০০০.১৪.০০১.১৯-৪৫। তারিখ-২৮/০১/২০১৯। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩০ টাকা।

কাজের অনুমোদনের পর গত ৪-৫ দিন ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মো. সুলতান আহমেদ ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বেচ কাটাসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করেন। অথচ ওই সেতুটি বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর নির্মিত না হয়ে একই গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে হোসেন মিয়া প্রধানের বাড়ির সামনে খালের উপর নির্মিত হচ্ছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. অলিউল্যাহ, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু, মো. মিজানুর রহমান ও যুবলীগ নেতা কাউছার আলম রুবেল জানান, সেতুটি যেখানে সরকারি ভাবে অনুমোদন হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মুন্সি ওই স্থানে না করে তা অন্য জায়গায় নির্মাণের পাঁয়তারা করছে। স্থানীয় বাচ্ছু মিয়া ও সাদেক মিয়ার মাধ্যমে মোটা অংক হাতিয়ে নিয়ে এ কাজ করা হচ্ছে।

তাদের দাবি, সরকারি শিডিউল অনুসারে যেখানে সেতু হওয়ার কথা সেখানেই নির্মাণ করা হোক।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মুন্সি জানান, ওই গ্রামে সরকারি ভাবে দু’টি কালভার্ট সেতু হবে। এরমধ্যে একটির অনুমোদন হয়েছে, অন্যটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তবে সেতু নির্মাণের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এটি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। আমি কারো কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেইনি।’

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ জানান, এক স্থানের সেতু অন্য স্থানে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিতারা গ্রামে সেতু নির্মাণে কোনো অনিয়ম হলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;