কোয়েল পাখি পালন করে কোটিপতি!



গণেশ দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা২৪.কম
কোয়েল পাখি পালন করে স্বাবলম্বী জীবন নাহার, ছবি: বার্তা২৪

কোয়েল পাখি পালন করে স্বাবলম্বী জীবন নাহার, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোয়েল পাখি পালন করে নিজের জীবন বদলে ফেলেছেন বগুড়ার জীবন নাহার। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে কোয়েল পাখি পালন শুরু করে তিনি। মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে কোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি। জীবন নাহার শুধু নিজের জীবন বদলাননি, কোয়েল পাখি পালনের মাধ্যমে প্রায় আড়াইশ নারীর ভাগ্য বদলে দিয়েছেন তিনি।

বগুড়া শহরতলীর আকাশতারা গ্রামের মজনু রহমানের স্ত্রী জীবন নাহার। কোয়েল পাখির ব্যবসা করেই বানিয়েছেন পাঁচতলা বাড়ি, ১৫ লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে পাখির ডিম ফুটানোর মেশিন স্থাপন করেছেন। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সংসার খরচ চালানোর পরেও প্রতি মাসে এখন তার লাভ হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।

নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার মেয়ে জীবন নাহার। ২০০০ সালে বিয়ে হয় বগুড়া সদরের আকাশতারা গ্রামের মজনু রহমানের সাথে। বিয়ের সময় স্বামী মজনু রহমান ছিলেন বেকার। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই ধামুইর হাটে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতেন মজনু রহমান। ধামুইর হাটে জীবন নাহারের বাবার রড-সিমেন্টের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন জামাই মজনু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/05/1554441926226.jpg

এভাবে শ্বশুরবাড়িতে কেটে যায় ১০ বছর। এরই মধ্যে তাদের সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করানোর সময় হলে ২০১০ সালে জীবন নাহারের বাবা সাত হাজার টাকা দিয়ে মেয়ে-জামাইকে পাঠিয়ে দেয় বগুড়ায়। আকাশতারা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে বেকার স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতে শুরু করে তাদের। বাবার দেয়া সাত হাজার টাকা থেকেও সংসারে খরচ হয়ে যায় দুই হাজার টাকা।

জীবন নাহার তার জীবন বদলানোর বর্ণনা করতে গিয়ে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'স্বামীর বাড়িতে ফিরে বেকার স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে হতাশায় ভুগছিলাম। এমন সময় গ্রামের আব্দুল বারী নামের এক ব্যক্তির পরামর্শে কোয়েল পাখি পালন শুরু করি। শুরুতে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করানোর ৫ হাজার টাকায় আড়াই হাজার পিস একদিন বয়সী কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনি। বাড়িতে পালন করা কোয়েল পাখি একমাস পর বিক্রি করে লাভ হয় ১০ হাজার টাকা।'

তিনি জানান, এরপড় চার হাজার বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন কোয়েল পাখি পালন। একমাস পর পাখি বিক্রি করে লাভ হয় ৪০ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা খরচ করে পাখি পালনের জন্য আলাদা একটি টিনের ঘর তৈরি করেন। এরপর তিনি কোয়েল পাখি পালন ব্যবসার প্রসার ঘটানো শুরু করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/05/1554441945775.jpg

জানা যায়, জীবন নাহার গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে অন্যান্য নারীদেরকে তার ব্যবসায় লাভের কথা বলে উদ্বুদ্ধ করেন কোয়েল পাখি পালনে। ৯ বছরের ব্যবধানে আকাশতারা গ্রামের প্রায় আড়াইশ নারী এখন বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

আকাশতারা গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী হিরা বেগম বার্তা২৪.কমকে জানান, তিনি নিজেই এখন বাড়িতে কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলেছেন। তার খামারে এখন ৪ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। একদিন বয়সী কোয়েল পাখির বাচ্চা ৬ টাকা পিস দরে কিনে খামারে ২৪ দিন পালন করেন। ১৮-১৯ দিন পার হলেই কোয়েল পাখি বিক্রি শুরু করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যাপারীরা বাড়ি থেকেই ২২ টাকা থেকে ২৫ টাকা পিস দরে কোয়েল পাখি কিনে নিয়ে যায়।

হিরা বেগম ছাড়াও আকাশ তারা গ্রামে বাড়ি বাড়ি নারীরা গড়ে তুলেছেন কোয়েল পাখির খামার। সংসারে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি কোয়েল পাখি পালন করে নারীরা হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী।

জীবন নাহার আরও জানান, তার খামার থেকে প্রতি মাসে এক লাখ কোয়েল পাখির বাচ্চা বিক্রি করেন। গ্রামের নারীরা তার বাড়ি থেকে এসব বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছেন। ডিম ফুটানোর জন্য বাড়িতে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে হ্যাচারি করেছেন। তার খামারে তারা স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও ১০ জন কর্মচারী কাজ করে।

কোয়েল পাখির চাহিদা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'কোয়েল পাখি বগুড়াতে ব্যাপক হারে পালন হলেও বগুড়ার বাজারে এই পাখির চাহিদা কম। ঢাকা,চট্টগ্রাম,সিলেট, ফেনী এবং রাজশাহী অঞ্চলে কোয়েল পাখির চাহিদা বেশি। আকাশ তারা ছাড়াও এই অঞ্চল থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ হাজার পাখি বাহিরের জেলা গুলোতে বিক্রি হয়।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;