বিয়ের প্রলোভনে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন রোহিঙ্গা নারীরা



মুহিববুল্লাহ মুহিব ও নুরুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের একটি দৃশ্য, ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের একটি দৃশ্য, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের প্রলোভনে গভীর সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যেতে তৎপর হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা নারীরা। তাদের এ কাজে সহায়তা করছেন ক্যাম্প ভিত্তিক কিছু দালাল চক্র।

সাগরে প্রতিনিয়তই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছেন রোহিঙ্গা যুবক ও নারীরা। দেশীয় কিছু দালাল চক্রের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি উপেক্ষা করে সাগরে পাড়ি জমাচ্ছেন এসব রোহিঙ্গা।

সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থের বিনিময়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর তথ্য বেরিয়ে আসে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফের ৩০ ক্যাম্পে অস্থায়ীভাবে বসবাসরত রোহিঙ্গার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে কিছু দালাল চক্র। যারা মূলত এসব রোহিঙ্গা নারীদের টার্গেট করে প্রলোভন দেখাচ্ছেন। এ ফাঁদে পা দিয়ে রোহিঙ্গা নারীরা মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে রাজি হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে রাতের আঁধারে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন তারা। আর সাগর পাড়ি দিতে যেয়েই রোহিঙ্গারা আটক হচ্ছেন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

সম্প্রতি সাগর পথে টহল দেয়ার সময় কোস্টগার্ড, বিজিবি ও র‌্যাব-পুলিশের হাতে আটক হয় প্রায় ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। যার মধ্যে বুধবার (৩ এপ্রিল) বিজিবির হাতে ২৭ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু আটক হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ নারীর ১৩ জনই অবিবাহিত। এসব নারীরা বিয়ের আশায় মালয়েশিয়া যেতে মরিয়া।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা যুবকদের সঙ্গে আটক হওয়া রোহিঙ্গা নারীদের অনেকেরই ফোনে বিয়ে ঠিক হয়েছে। উদ্ধার হওয়া নারীদের অনেকেই আগে থেকেই মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত স্বামীর কাছে যেতে চাইছেন। বিজিবির হাতে উদ্ধার হওয়া নারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, প্ররোচনার ফাঁদে পড়েন রোহিঙ্গা শিবিরের উখিয়া কুতুপালংয়ের ৩ জন, জামতলীর ৪ জন, থ্যাংখালীর ৩ জন ও লেদারের ৩ জন। এছাড়া বালুখালী, টেকনাফ, মোচনী ও শামলাপুর এলাকা থেকে ১ জন করে উদ্ধার হন।

তাদের মধ্যে একজন উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের ডি-১’র দিল মোহাম্মদের মেয়ে রুজুমা আক্তার (১৪)। তিনি জানান, তার চাচাত বোন মুবিনা আক্তারসহ দুই জনই অবিবাহিত। মালয়েশিয়ায় তাদের একভাই বিয়ের কথা পাকা করেছেন। ওই ভাই দালালদের সাথে কথা বলে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে তাদেরকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের করে টেকনাফ নিয়ে আসেন।

রাতে সাগর পাড়ে নিয়ে গেলেও কোন ট্রলারের দেখা মেলেনি। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করেন।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ঠাঁই হয় উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা যুবকের সাথে বিয়ের কথা ঠিক হয়েছে।

পরিবারের সিদ্ধান্তে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু বিজিবির হাতে আটক হয়ে বিয়ের স্বপ্নই রয়ে গেল।

উদ্ধার হওয়া আরেক নারী টেকনাফের শামলাপুর শিবিরের ডি ব্লকের সুলতানের মেয়ে দিল কায়েস (১৪)।

তিনি জানান, মা ও বাবাকে হারিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ভাই নূর কালামকে নিয়ে বসবাস করছিলাম। সানাউল্লাহ নামে আরেক ভাই মালয়েশিয়া থাকেন। সানাউল্লাহ সেখানে বিয়ের কথা ঠিক করে দালালের সাথে বোঝাপড়া করেন।

মঙ্গলবার সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে খবর এলেও সাথে থাকা ভাই নূর কালাম ট্রলারে উঠিয়ে দিতে আসেন। রাতেই ট্রলারে যাওয়ার আগে আমাদের আটক করা হয়।

এমনকি পৌঁছে দিতে এসে ভাই নূর কালামও আটক হয়েছেন। এখন বিয়ের স্বপ্ন আর হলো না।

টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে জানান, সাগর উপকূল থেকে ২৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি। তাদের অধিকাংশ নারী অবিবাহিত। এই সব পাচারে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আনা হবে। সীমান্ত ও উপকূলে বিজিবির অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কয়েকশ রোহিঙ্গাকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা বার বার সাগর পাড়ি দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

টেকনাফ উপকূলে কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি দালাল চক্রের বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;