বিলুপ্তির পথে কুমারখালীর তাঁতশিল্প



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম
বিলুপ্তির পথে কুমারখালীর তাঁতশিল্প / ছবি:বার্তা২৪

বিলুপ্তির পথে কুমারখালীর তাঁতশিল্প / ছবি:বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কালের বিবর্তনে প্রায় বিলুপ্তির পথে কুমারখালীর তাঁতশিল্প। আগে সেখানকার তাঁতপল্লীতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাকুর-টুকুর শব্দ হলেও এখন নেই কোনো কর্মমুখরতা। মাঝে মাঝে কয়েকটি তাঁতকল চললেও সেই জৌলুস আর নেই। যারা এখনো তাঁতকল আঁকড়ে আছেন তাদের সংসার চালানোই কষ্টকর। ফলে পেটের দায়ে পূর্বপুরুষের এই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।

উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাঁশগ্রামসহ কয়েকটি ইউনিয়ন জুড়েই ছিল তাঁতী ও তাঁতশিল্প। তাঁতের ছন্দে দোলায়িত হতো এসব গ্রামের মানুষ। বর্তমান নানা প্রতিকূলতায় এসব ইউনিয়নের তাঁতশিল্প বিলুপ্তির পথে। প্রতি বছরই কমছে তাঁতকলের সংখ্যা। যদুবয়রা গ্রামের প্রায় এক হাজার তাঁতের মধ্যে এখন আছে মাত্র একশটি। এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় চার হাজার নারী ও পুরুষ জড়িত ছিলেন। যারা এখন বেশিরভাগ কর্মহীন ও বেকার।

জানা গেছে, পুঁজি সংকট, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বন্ধ হচ্ছে তাঁতকলগুলো। ফলে পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক মালিক ও কারিগররা।

প্রবীণ তাঁতী আশরাফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সর্বাধুনিক মেশিনে পোশাক তৈরি হওয়ায় আমাদের তাঁতের তৈরি পোশাক মার খাচ্ছে। ফলে হাজার হাজার তাঁতী পেশা বদল করে অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন।’

অপর তাঁতী সবুজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগের মতো বাজার না থাকায় তাঁতী পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/12/1555061182559.jpg

কুষ্টিয়া জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব হাজী হারুন-অর-রশিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আধুনিক মেশিন সংযোজন করতে হবে। ফলে এই শিল্পের জন্য সরকারকে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই তাঁতশিল্পকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।’

তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তাঁতশিল্প নগরী খ্যাত কুষ্টিয়ার কুমারখালী, খোকসা ও মিরপুর উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজারেরও অধিক তাঁতকল ছিল। এরমধ্যে হস্তচালিত ছিল ৪৪ হাজার এবং বিদ্যুৎ চালিত ছিল এক হাজার। প্রতি বছর ২৬০ কোটি টাকা মূল্যের কাপড় তৈরি হতো এ জেলায়। যার মধ্যে ২ কোটি ৮৮ লাখ পিস লুঙ্গি, ১৫ লাখ পিস বেডসিট, ৭২ লাখ পিস গামছা ও তোয়ালে উৎপাদন করা হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাপড়ের রং, ক্যামিক্যাল ও সুতার মূল্য বৃদ্ধির কারণে তাঁতের তৈরি কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাছাড়া মেশিনের তৈরি নানাবিধ পণ্য বাজারে আসায় দেশি কাপড়ের চাহিদা কমে গেছে। ফলে অচল হয়ে যাচ্ছে তাঁতকলগুলো। আর এ পেশায় জড়িতরা বর্তমানে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। তবে তাঁতশিল্পকে বাঁচাতে আমরা তাঁতীদের সঙ্গে বৈঠক করছি। সরকারের সহযোগিতায় বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে এই শিল্প টিকে থাকে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;