হাঁস পালনে অভাব জয়



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
হাঁস পালনে স্বাবলম্বী আবু সাঈদ, ছবি: বার্তা২৪

হাঁস পালনে স্বাবলম্বী আবু সাঈদ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া: হাঁস পালন করে অভাব জয় করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বগুড়ার আবু সাঈদ ও জাহানারা বেগম। শুধু হাঁস পালন করেই তারা নিজেদের বাড়ি করেছন, দুই সন্তানকে লেখাপড়াও করাচ্ছেন। হাঁস পালনের ব্যবসা করে মাত্র তিন বছরেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে এই দম্পতি।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালুন্দা গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ ও জাহানারা। তারা নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন ক্যাম্বেল প্রজাতির হাঁসের খামার। তাদের খামারে এখন রয়েছে পাঁচ শতাধিক হাঁস।

বার্তা ২৪.কমকে জাহানারা বলেন, তিন বছর আগেও তাদের সংসারে ছিল অভাব। সংসারে ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো। এমন অবস্থায় সরকারি কোনো (ভিজিড, ভিভিএফ কার্ড) সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা, কোনো এনজিও তাদের ঋণ দিত না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রতিবেশী হাতেম আলী হাঁস পালনের পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক দুই হাজার টাকায় ১০০ পিস ক্যাম্বেল জাতের একদিন বয়সী হাঁসের বাচ্চা কেনেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555129887611.jpg

হাঁস পালনের অভিজ্ঞতা না থাকায় রোগ-ব্যধিতে জাহানারাদের বেশ কিছু হাঁস মারা যায়। তবুও যেগুলো টিকে ছিল সেই হাঁসগুলোর পাড়া ডিম বিক্রি করেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন তারা। পরে আরও ১০০ হাসের বাচ্চা কেনেন। এতে ডিমের পরিমাণ বাড়তে থাকে। পাশাপাশি পুরুষ হাঁস বিক্রি করে আয়ও বাড়তে থাকে।

আবু সাঈদ জানান, এবার ডিম পাড়া শেষে হাঁস বিক্রি করেছেন ৪০ হাজার টাকার। তারপরও পুরনো হাঁস রয়েছে ৭০টি। এসব হাঁস থেকে প্রতিদিন গড়ে ডিম আসে ৩০-৩৫টি। সপ্তাহে তিনদিন ১২ টাকা পিস দামে ডিম বিক্রি করেন বাড়িতে বসেই।

এ বছর জাহানারা ২৬ টাকা দরে একদিন বয়সী ৫০০ হাঁসের বাচ্চা কিনেছেন। এসব বাচ্চার বয়স এখন এক মাস। এর মধ্যে শিয়াল খেয়ে ফেলেছে ২০টি বাচ্চা। ৪৮০টি হাঁসের বাচ্চার মধ্যে কোনো রোগ-ব্যাধি না হলে সাড়ে চার মাস পর থেকে ডিম দেওয়া শুরু হবে। তবে এর মধ্যে কমপক্ষে ২০০ হাঁস পুরুষ হিসেবে চিহ্নত করা হবে। এসবের মধ্যে শতকরা ১০টি পুরুষ হাঁস খামারে রেখে বাকিগুলো বিক্রি করবেন ২০০-২৫০ টাকা পিস হিসেবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555129903290.jpg

জাহানারা বলেন, ক্যাম্বেল জাতের একটি হাঁস ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬০টি ডিম পাড়ে। হাঁসের ডিমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ডিম বিক্রি করতে হাটে যেতে হয় না। হ্যাচারি মালিকদের পক্ষে সপ্তাহে তিনদিন বাড়ি থেকে ডিম কিনে নিয়ে যাওয়া হয়। হাঁসের ডিম বিক্রি করেই হাঁসের খাবার কেনা ও সংসার খরচ চালানোর খরচ উঠে যায়। এমনকি দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচও চলে হাঁস ও ডিম বিক্রি করেই।

আবু সাঈদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিন বছর আগে অন্যের জমিতে কাজ করলেও এখন আর তা করতে হয় না। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে হাঁসের ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে ইতোমধ্যই দুই শতাংশ জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। বাচ্চা হাঁসগুলো বড় হয়ে ডিম দেওয়া শুরু করলে প্রতি মাসে ডিম বিক্রি করে আয় করবেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও পুরুষ হাঁস বিক্রি করে হাঁস পালনের জন্য পুকুর লিজ নেবেন।

জাহানারা আর আবু সাঈদকে দেখে হাঁস পালনে উৎসাহিত হয়েছে গ্রামটির অনেকেই। তাদের থেকে শিখে হাঁস পালন করে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বহু মানুষ। দূর করেছেন সংসারের অভাব, দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;