ভুয়া ডিগ্রির বড় ডাক্তার ‘নুর নাহার’



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
দালালের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের নিজের চেম্বারে নিয়ে আসেন ভুয়া চিকিৎসক নুর নাহার চৌধুরী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

দালালের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের নিজের চেম্বারে নিয়ে আসেন ভুয়া চিকিৎসক নুর নাহার চৌধুরী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করেই হয়ে গেছেন চিকিৎসক। প্রাতিষ্ঠানিক বিডিএস ডিগ্রি নেই। চেম্বার সাজিয়ে নিজেই শুরু করেন অবৈধ চিকিৎসা ব্যবসা। রোগী দেখতে নিয়ে থাকেন চড়া ফি। বিভিন্ন রোগের জটিল অপারেশনেও করছেন তিনি। কক্সবাজার শহরের এই ভুয়া চিকিৎসক নুর নাহার চৌধুরী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরের বাজারঘাটা এলাকায় অবৈধভাবে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন এই ভুয়া চিকিৎসক। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসা রোগীদের ফাঁদে ফেলে দালাল চক্র নিয়ে আসে নুর নাহারের চেম্বারে। এরপর চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা। নুর নাহারের রয়েছে আট জনের একটি দালাল সিন্ডিকেট। যারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফাঁদে ফেলে এখানে আনেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ‘হাজী ওলা মিয়া ভবন’ নামে একটি ভবনে চেম্বার খুলেছেন ভুয়া চিকিৎসক নুর নাহার। সেখানে রয়েছে একটি বেড। যেখানে রোগীর চিকিৎসা করা হয় সরু একটি কক্ষে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/17/1555501441098.gif
ভুয়া ডাক্তার নুর নাহার চৌধুরী

 

প্রথমে সেখানে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দিলেও পরে সমঝোতার চেষ্টা করেন নুর নাহার। তিনি নিজেকে চিকিৎসক দাবি করলেও চিকিৎসক হিসেবে তার কোনো সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। নাম সর্বস্ব একটি ট্রেনিং নিয়েছেন চিকিৎসার উপর। তার একটি সার্টিফিকেট রয়েছে তার কাছে। এটির ভিত্তিতেই তিনি নিজেকে চিকৎসক পরিচয় দিচ্ছেন।

এদিকে, গত ৯ মার্চ টিউমার যন্ত্রণা নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসেন ঈদগাঁওয়ের নতুন অফিস এলাকার সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী মিনু আরা বেগম (২৮)। অপারেশনের কথা বলে দালালরা ফাঁদে ফেলে নুর নাহারের কাছে নিয়ে আসেন। অপারেশনের নামে পেট কেটে চিকিৎসা করেন নুর নাহার। তারপর মিনু আরাকে বলেন ১৫ দিন পর্যন্ত কোনো ডাক্তারের কাছে না যেতে। ১৫ দিন পর পরীক্ষা করাতে বলেন। কিন্তু ১৫ দিন পরে এসে পরীক্ষা করা হলে তার টিউমার পেটের মধ্যে রয়ে গেছে বলে জানতে পারেন মিনু আরা। এখন যন্ত্রণায় চটপট করছেন এই হতভাগা নারী।

অসুস্থ মিনু আরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাকে ফাঁদে ফেলে তারা নিয়ে অপারেশনের নাম করে টাকা নিয়েছেন। কোনো অপারেশন করেননি। আমি যখন তার কাছে এটা বলতে যাই, তখন তিনি আমাকে তার চেম্বার থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।’

মিনু আরার স্বামী সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন আর কী করবো। পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আল্লাহ যদি সহায় হয়। অপারেশনের নামে আমাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/17/1555501290740.gif
নুর নাহারের একমাত্র সার্টিফিকেট

 

নিজের দোষ স্বীকার করে ভুয়া চিকিৎসক নুর নাহার চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার নাম কামরুন নাহার চৌধুরী। চিকিৎসাপত্রে ভুল নাম ব্যবহার করেছি। আমার যা করতে পারেন করেন গা। আমার কোনো সমস্যা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত চিকিৎসা দেয়, কিন্তু কেউ অভিযোগ করেনি। অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়টিও সত্য নয়।’

এদিকে, মিনু আরার বর্তমান চিকিৎসকরা বলছেন, টিউমারের স্থানে উল্টো এখন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত যদি এখন উন্নত চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে বিপদ হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পার্কে কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি কেউ জানায়, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;