তাড়াশে অর্ধশত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ



রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সিরাজগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান, ছবি: বার্তা২৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। এসব ভবনের শ্রেণি কক্ষের ভেতরের ছাদ ও বারান্দায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের মধ্য উপজেলার চৌড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাদো সৈয়দপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুন্দইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুয়ারাখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রানীরহাট চককলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিরল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুল্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘরীয়া-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকরুসুলাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকুশাবাড়ি-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালূপাড়া-বাশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাটাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর নতুন ভবন নির্মাণ না করা হলে যেকোনো মূহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

১৯২৬ সালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। পরে ১৯৯৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করেন সরকার। চৌড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাকা ভবনে দেয়ালজুড়ে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল। আবার কোথাও কোথাও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় বেরিয়ে এসেছে মূল কাঠামোর রড। বর্ষায় ফাটল দিয়ে পানি চুয়ে পড়ে শ্রেণিকক্ষে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/23/1555967756891.jpg

এসব ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই ক্লাস করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। ভবনটি নির্মাণের পর নতুন করে মেরামত না হওয়ায় দেয়ালজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন জানায়, শ্রেণিকক্ষে আমাদের ক্লাস করতে হয় ভয়ে ভয়ে। আরেক শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান জানায়, ক্লাস চলাকালে অনেকবার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। আর অভিভাবক ফজলুল হক জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। কিন্তু বিদ্যালয়টির কক্ষগুলোর যে অবস্থা আমরা তাতে চিন্তায় থাকি।

এ বিষয়ে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নাদো সৈয়দপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের ভবনটি অনেক পুরাতন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। ভবনের দেয়ালে সামান্য একটি পেরেক লাগলেও পলেস্তরা খসে পড়ে। একই কথা জানালেন চৌড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম।

তিনি জানান, বিদ্যালয়টির বয়স অনেকদিন হওয়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সে সময়ে ভবন নির্মাণের সময় অনিয়ম ছিল বলে টেকসই হয়নি। ঝড়ের সময় আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভবনের বাইরে গিয়ে আশ্রয় নেই।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলায় ১৩৬টি বিদ্যালয়ের মধ্য প্রায় ৫০টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্য অতিঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি বিদ্যালয় রয়েছে। আর এই ভবনগুলার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;