পুলিশই এখন চিকিৎসক



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ফাস্ট এইট বক্স পেলেন ৬০ জন পুলিশ সদস্য / ছবি: বার্তা২৪

ফাস্ট এইট বক্স পেলেন ৬০ জন পুলিশ সদস্য / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যতগুলো ঝুঁকিপূর্ণ পেশা রয়েছে, এর অন্যতম একটি পুলিশ। দিন কিংবা রাত, যে কোনো মুহূর্তে তাদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মুখোমুখি হতে হয়। আর এ কারণে অনেক সময় আহত হতে হয় পুলিশ সদস্যদের। একই সঙ্গে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে।

এসব কথা বিবেচনা করে নিজেদের ও দুর্ঘটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ির ৬০ জন পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন ডা. মিঠুন রায়, ডা. গৌতম বরন মিস্ত্রি, ডা. আহমেদ রিয়াজ চৌধুরী, ডা. মো. রিফায়েত হোসাইন, ডা. মৌসুমী ভদ্র।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ একটি হাওর অঞ্চলীয় জেলা। এখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্র রয়েছে। সেইসব পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সময়-অসময়ে অসুস্থ হলে চিকিৎসা নিতে পারেন না। আবার ছোটখাটো অসুস্থতার কারণে মাসে দুই তিনদিন শহরে এসে চিকিৎসা নিতে হয়। এতে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে গিয়ে মাস শেষে আর্থিক টানাপোড়ানে পড়তে হয় তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556125022362.jpg

এছাড়া পানিতে ডুবে যাওয়া, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত হতে হয়। আবার দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাতে গিয়ে অনেক রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে অনেক রোগী মারাও যায়।

এ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরাই যেন আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠাতে পারে তার জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ শহরের ধুলিয়াখাল এলাকায় অবস্থিত পুলিশ লাইনসের হলরুমে দু’দিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।

মঙ্গলবার ও বুধবার (২৩ ও ২৪ এপ্রিল) আয়োজিত এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের ৬০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৩০ জন পুরুষ সদস্য ও ৩০ জন নারী সদস্য ছিলেন।

বুধবার বিকেলে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের হাতে সনদপত্র এবং ফাস্ট এইট বক্স তুলে দেন প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শেখ সেলিম।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন বলে দাবি করেন প্রশিক্ষণার্থীরা। এ বিষয়ে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী বলেন, এটা এক অন্যরকম অনুভূতি। কারণ পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অতিরিক্ত সেবা করতে পারব। একই সঙ্গে নিজেদের বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের প্রাথমিক চিকিৎসাও করতে পারব।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556125045993.jpg

তারা আরও বলেন, পুলিশ সদস্য হিসেবে আমরা সামান্য বেতন পাই। যা দিয়ে পরিবার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। আমরা যারা দূর-দুরান্তের ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করি তাদের ছোটখাটো অসুখের জন্য শহরে আসতে হয়। ফলে ভাড়াবাবদই প্রতিমাসে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এতে করে মাস শেষে আর্থিক টানাপোড়েনে পড়তে হয়। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ ও ফাস্ট এইট বক্স পাওয়ার কারণে এখন ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসা নিজেরাই করতে পারব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম বলেন, ‘পুলিশকে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত থাকতে হয়। এতে করে নিজেরা অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই অবস্থায় যেন তারা নিজেদের চিকিৎসা অথবা সহকর্মীর চিকিৎসা করতে পারে তাই হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার ব্যবস্থা করেছেন। আমরা আশা করি এই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিজেদের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আহত রোগীদের চিকিৎসা করতে পারবে।’

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, ‘দু’দিন ব্যাপী কর্মশালার মাধ্যমে ৬০ জন পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে ফাস্ট এইট বক্সের ভেতরে প্রেসার মাপার যন্ত্র, ডায়বেটিস মেশিন, সেভলন ক্রিম, ওজন মাপার যন্ত্রসহ চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে প্রতি মাসে কিছু ওষুধ দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথম এ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতেও এ প্রশিক্ষণের ধারা অব্যহত রাখা হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;