ঘাস চাষে স্বাবলম্বী কৃষক



তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম
ঘাস চাষে স্বাবলম্বী কৃষক। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘাস চাষে স্বাবলম্বী কৃষক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠ পর্যায়ে নেপিয়ার ঘাস চাষ করা হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ করে এ অঞ্চলের কৃষকরা এখন স্বাবলম্বী। অল্প সময়ে স্বল্প জমিতে ঘাস চাষ করে লাভজনক হওয়ায় কৃষকরাও ঝুঁকছে এই কাজে।

গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে দেশে চারণভূমিতে গরু বেঁধে ঘাস খাওয়ানো হতো। সেই সময়ে কৃষকদের অনেক জমিই পতিত থাকত। বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে নানা প্রযুক্তি আসায় এখন কেউ আর জমি পতিত রাখে না। এমনকি জনসংখ্যা বাড়ায় চারণভূমির পরিমাণও দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই আগের মতো গবাদিপশু মাঠে বেঁধে ঘাস খাওয়ানো যায় না। ফলে ঘাস সংকট দেখা দেয়।

জানা গেছে, গৃহপালিত পশু পালন লাভজনক হওয়ায় গাইবান্ধায় প্রায় প্রতিটি পরিবারেই গরু-ছাগল পালন করা হয়। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে বেশ কিছু ডেইরি খামার গড়ে উঠেছে। এসব গবাদিপশুর ঘাস সংকট নিরসন এবং অর্থকারী হিসেবে ফসলি জমিতে নেপিয়ারসহ বিভিন্ন জাতের ঘাস চাষ করা হচ্ছে।

পলাশবাড়ী উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কৃষক সুবল চন্দ্র ঘাস চাষাবাদ পদ্ধতির বিষয়ে বার্তা২৪.কমকে জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়া নেপিয়ার ঘাস চাষের উপযোগী। এর পাতা ও কাণ্ড দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো। জলাবদ্ধ স্থান ছাড়া সব মাটিতে চাষ করা যায়। নেপিয়ার ঘাস যেকোনো সময় রোপণ করা যায়। প্রতি হেক্টর জমির জন্য ইউরিয়া ৫০ কেজি, টিএসপি ৭০ কেজি, এমপি ৩০ কেজি দিতে হয়। বপনকরা বীজ গজানোর পর খরা মৌসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দিতে হয়। ঘাস লাগানোর পর ৬০-৮০ দিন পর কাটার উপযুক্ত সময়। একবার ঘাস লাগালে বছরে ছয়বার ফসল তোলা যায়।

সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকার কৃষক খবির উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সেচ, সার ও শ্রমিকসহ প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে ঘাস চাষে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। তবে বছরে ঘাস বিক্রি করা যায় প্রায় ৫৫ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে গত তিন বছর ধরে ঘাস চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি।’

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, গবাদিপশুর জন্য নেপিয়ার ঘাস খুবই পুষ্টিকর খাবার। এ ঘাস খাওয়ালে অল্প দিনের মধ্যে গরু মোটাতাজা হয় এবং অধিক দুধ পাওয়া যায়।

ঘাস ব্যবসায়ী বকুল মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, নেপিয়ার ঘাসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের কাছ থেকে ঘাস কিনে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়। প্রতি আঁটি ঘাস ১০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়।

ঘাস ক্রেতা জসিম সরকার বার্তা২৪.কমকে জানান, গ্রামাঞ্চলের মানুষের সচ্ছলতার চাবিকাঠি হচ্ছে গৃহপালিত পশু। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- গরু মোটাতাজাকরণ ও দুগ্ধ জাতের গাভী পালন। এমনকি ছাগল পালনও লাভজনক। তাই নেপিয়ার ঘাস কিনে গরুকে খাওয়ানো হয়।

গাইবান্ধা জেলার কৃষি অফিসার আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ঘাস চাষ অত্যন্ত লাভজনক। গত বছরের তুলনায় কৃষকরা এ বছর ঘাস চাষে বেশি ঝুঁকেছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;