চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভূমির অধিকার চান চা শ্রমিকরা



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চা শ্রমিকরা আজও অবহেলা, নিপীড়িত ও বঞ্চনার শিকার। দেড়শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা বাংলাদেশে বসবাস করে আসছেন। তবুও তাদের জীবন মানের কোনো উন্নতি হয়নি। চা গাছ ছেঁটে যেভাবে ২৬ ইঞ্চির বেশি বাড়তে দেওয়া হয় না, চা শ্রমিকের জীবনও যেন তেমনই।

শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান কোনোটাই যেন নেই চা শ্রমিকদের ভাগ্যে। তাদের শ্রমে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হলেও তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ নিম্ন থেকে নিম্নগামী হচ্ছে। সারাদিন হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেও দিন শেষে জোটে মাত্র ১০২ টাকা মজুরি। নিজ দেশেই পরবাসী এসব চা শ্রমিকরা চান- ভূমি অধিকার, কুপির বদলে বিদ্যুৎ আর সন্তানদের শিক্ষার নিশ্চয়তা।

দেশের ১৬৪টি চা বাগানের মধ্যে হবিগঞ্জে রয়েছে ৪৫টি। যেখানে বসবাস করেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক। চা শিল্পে কর্মরত এসব শ্রমিকের সমস্যা পাহাড়সম। আধুনিক দাসত্বের শিকার চা শ্রমিকদের নেই নিজস্ব বাসস্থান।

দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকায় চা বাগান মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ চা সংসদ’ -এর নেতাদের সঙ্গে ‘চা শ্রমিক ইউনিয়ন’ নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে চা শ্রমিকদের ১০২ টাকা হারে দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করা হলেও চুক্তির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ২০ মাস পর ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট তা কার্যকর করা হয়। বর্তমানে হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে নিয়মিত শ্রমিকরা দৈনিক ১০২ টাকা হারে মজুরি পাচ্ছেন। আর ১৫ টাকা দরে প্রতিদিন এক কেজি রেশনের আটা পান। সে অনুযায়ী নিয়মিত শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পাচ্ছেন মাত্র ১১৭ টাকা। আর অনিয়মিত শ্রমিকদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ১০২ টাকাতেই। অথচ দেশের সরকারি-বেসরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে মজুরি পান।

চা শ্রমিকদের দাবি, ১০২ টাকা মজুরি দিয়ে বর্তমান বাজার দরের সাথে খাপ খাইয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে চালের কেজি যেখানে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, সেখানে ১০২ টাকা দিয়ে কেবল ২ কেজি চালই কেনা সম্ভব। তেল-নুনসহ অন্যান্য খরচ করা সম্ভবই না। এ অবস্থায় দৈনিক মজুরি কমপক্ষে ২০০ টাকা করতে হবে।

চা শ্রমিকদের নেতারা জানান, দীর্ঘদিন দৈনিক ৬৯ টাকা মজুরিতে কাজ করেন চা শ্রমিকরা। ২০১৫ সালে দৈনিক ২৩০ টাকা মজুরি, লাভের ৫ শতাংশ, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি চালুসহ ২০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে দৈনিক মজুরি ১৬ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা হয়। পরে সেটি ১০২ টাকায় গেলেও তাদের ২০ দফার কোনো দাবিই পূরণ হয়নি। অবহেলিত এসব চা শ্রমিকদের ভাগ্য ফেরাতে নূন্যতম মজুরি ৪০০ টাকা করতে হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556688253618.jpg

মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর চা বাগানের শ্রমিক সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে আমরা চা শ্রমিকরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিন যাপন করছি। ১০২ টাকা মজুরি দিয়ে আমাদের চলে না। কোনো রকমে আমরা খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।’

আরতি কুমরী নামে এক নারী চা শ্রমিক বলেন, ‘বাবু গো, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হারাদিন কাম করে ১০২ টেকা পাই। আমাদের অনেক কষ্ট গো বাবু!’

প্রাথমিকেই সীমাবদ্ধ চা শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা

সারাদেশে যখন শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রসার ঘটছে, তখনও শিক্ষা বঞ্চিত চা শ্রমিক সন্তানরা। বিশ্লেষকদের মতে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনোর আগেই ঝড়ে পড়ে চা শ্রমিকদের ৯০ শতাংশ শিশু। আর বাঁকি ১০ শতাংশ ঝড়ে পড়ে সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণীতে। এর বড় কারণ হিসেবে তাঁরা দায়ী করেন, চা শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষায় অব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধার অভাবকে।

হবিগঞ্জ জেলার ৪৫টি চা বাগানের মধ্যে মাত্র ১৪টিতে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাকিগুলোতে চুক্তি অনুযায়ী বাগান মালিকদের দেওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েই সীমাবদ্ধ চা শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষা। আবার সেগুলোতেও নেই শিক্ষার নূন্যতম পরিবেশ। একজন শিক্ষক দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে প্রতিটি স্কুল।

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়ার জন্য চা শ্রমিক সন্তানদের স্কুল যেতে হয় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে। অথচ সরকার থেকে কোনো ধরনের শিক্ষা উপকরণ কিংবা শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয় চা শ্রমিকরা জানান, স্কুলের ফি, বইপত্র, খাতা কিনতে অর্থের প্রয়োজন। আর সে অর্থ জোগাড় করতে না পেরে অনেকেই তাদের সন্তানদের ঋণ করে লেখাপড়া করাচ্ছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556688323095.jpg

সুদাংশু প্রধান নামের এক চা শ্রমিক জানান, অনেক কষ্টে ঋণ করে তিনি তার ছেলেকে এসএসসি পর্যন্ত পড়িয়েছেন। কিন্তু এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।

অন্য এক চা শ্রমিক মনমোহন সাওতাল বলেন, ‘আমরা চা শ্রমিক হিসেবে যে জীবন কাটাচ্ছি তা অত্যন্ত অমানবিক। বাবা হিসেবে আমি চাই না আমার সন্তানও আমার মতো কষ্ট করে বেঁচে থাকুক। কিন্তু কী করব! আমাদের ভাগ্যই যেন খারাপ। পেটে খাবার পড়ে না, লেখাপড়া করাবো কী করে।’

চুনারুঘাট উপজেলার দেওয়ন্দি বাগানের ভাগিরতি কৈরী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার মা চা বাগানে কাজ করে। আর বাবা যখন যা পায় তাই করে। তিন কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। যদি আমাদের বাগানে একটি স্কুল থাকতো তাহলে অনেক ভালো হতো।’

চিকিৎসা বঞ্চিত চা শ্রমিকরা

চা শ্রমিকের অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক হলেও মাতৃত্ব কল্যাণ সুবিধা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। আবার সন্তান জন্মদানের পর শুরু হয় নারী শ্রমিকদের অন্য আরেক সংগ্রাম। কারণ তাদের নবজাত শিশুদের জন্য কোনো ডে কেয়ার সেন্টার নেই। ফলে সন্তান প্রতিপালন নিয়ে তাদের ব্যাপক ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর থেকে সন্তান জন্মদানের পর তার যে বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজন, তা বরাবরই অপূর্ণ রয়ে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556688370943.jpg

হবিগঞ্জের অধিকাংশ বাগানেই নেই কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র। আর যেগুলোতে আছে তাতেও শ্রমিকের জটিল কোনো রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় না। পর্যাপ্ত ওষুধ ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি তেমন বলার মত কিছুই নেই। এমবিবিএস ডাক্তার নাই। সেখানে প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। বেশি সমস্যার কথা বললে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। অথচ সেখানে যাওয়ার মতো টাকা পয়সা তাদের হাতে থাকে না।

১৯৬২ সালের টিপ্ল্যান্টেশন লেবার অর্ডিন্যান্স এবং ১৯৭৭ সালের প্ল্যান্টেশন রুলসে চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাগান মালিকদের প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও এর কোনো বাস্তব প্রতিফলন আজ অবধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলার সুমরা চা বাগানের নারী শ্রমিক সুবুদ্রা মুন্ডা বলেন, ‘সারাদিন রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়। রাতে শরীতে ব্যথা করে, চুলকায়। জ্বর আসলেও ওষুধ পাওয়া যায় না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556688354759.jpg

অন্য এক নারী শ্রমিক মনোহরা সাঁওতাল বলেন, ‘ছেলে মেয়ের চিকিৎসাই ঠিকমতো করাতে পারি না, আবার নিজের চিকিৎসা। আমাদের বাগানে কোনো হাসপাতাল নেই। কীভাবে চিকিৎসা করাব? আর সরকারি হাসপাতালে গেলে ১০০ টাকা লাগে, এত টাকা কই পামু।’

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মাধবপুর ভ্যালি কার্যকরি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নৃপাল পাল বলেন, ‘যুগযুগ ধরে চা শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে অবহেলিত একটি জনগোষ্ঠী। শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান কোনোটাই তারা ঠিকভাবে পাচ্ছ না। এছাড়া সারাদিন ক্রীতদাসের মতো খেটেও মজুরি পান মাত্র ১০২ টাকা। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের যে কোনো শ্রমিকরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে দৈনিক মজুরি পাচ্ছে।’

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের উপাদেষ্টা হবিগঞ্জ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি ও চা শ্রমিকের ভূমি অধিকার কমিটির নেতা স্বপন সাঁওতাল বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমি শত্রুমুক্ত করতে চা শ্রমিকরাও অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব মানুষ ভূমি অধিকার পেলেও চা শ্রমিকরা তা পাননি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;