আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কাটা হচ্ছে গাছ!



মো. তারেক রহমান, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কাটা হচ্ছে গাছ / ছবি: বার্তা২৪

আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কাটা হচ্ছে গাছ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এখানকার আমের সুনাম শুধু দেশে নয় রয়েছে বিশ্বজুড়ে। চাঁপাইয়ের আম মানেই সুস্বাদু। সেই সুনাম ও ভালো দাম পাওয়ার কারণে জেলার অধিকাংশ জমিতে গড়ে উঠেছিল আম বাগান। যেখানে ধান ছাড়া কোনো ফসল উৎপাদন হতো না, সেখানেও এখন চোখে পড়বে ছোট বড় আম বাগান। কিন্তু আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে অনেকেই এখন কেটে ফেলছেন গাছ। তৈরি করছেন অন্য বাগান।

নাচোল, গোমস্তাপুর ও সদর উপজেলায় গিয়ে জানা যায়, ভালো দামের আশায় এসব এলাকার বেশ কিছু ধানি জমিতে তৈরি করা হয় আম বাগান। কিন্তু আমের বেশি বেশি বাগান তৈরি এবং বাজার অব্যবস্থার কারণে বর্তমানে ক্ষতিরমুখে পড়তে হয়েছে আমবাগান মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের। যার ফলে বর্তমান সময়ে আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে অনেকে ক্ষোভে আম গাছ কেটে ফেলেছেন। আর তৈরি করছেন অন্য ফল গাছের বাগান।

বিশেষ করে কানসাট, মুসলিমপুর, চৌডালা, সেলিমাবাদ, ছত্রাজিতপুর ও মহারাজপুর এলাকায় বেশ কিছু আম বাগান কেটে ফেলার দৃশ্য দেখা গেছে।

কানসাট পার্বর্তীপুর এলাকার আবদুল কাদির বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমের নায্য মূল্য না পাওয়ার ক্ষোভে ৩০ বছর বয়সী প্রায় ১২টি আম গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে। এখন এ বাগানে অন্য ফসল আবাদ করার কথা ভাবছি।’ৎ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/06/1557143550920.jpg

একই কথা জানালেন মুসলিমপুর এলাকার আমবাগান মালিক সেরাফত মন্ডল। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রায় ৪বছর ধরে আমের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বাগানে যে টাকা খরচ হয় তার অর্ধেকও পাওয়া যাচ্ছে না। বাগান পরিচর্চায় যে পরিমাণ সার, বিষ ও কীটনাশক ব্যবহার করেছি সে টাকাও আম বিক্রি করে উঠছে না। ফলে বাগান কেটে ফেলতে বাধ্য হয়েছি।’

একই অভিযোগ করেন মহারাজপুর এলাকার আরেক বাগান মালিক শামসুর রহমান। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, গত মৌসুমে পাঁচ বিঘা বাগানে আম উৎপাদন করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করেছিলেন। সে আম বিক্রি করেন মাত্র সোয়া লাখ টাকায়। তিনি খরচের টাকা উঠাতে না পেরে বাগানে পরিচর্চা করছেন না।

আমের এমন দুর্দশা চলতে থাকলে বাগান কেটে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকতে হবে বলেও মনে করছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেকে বাগান কেটে ফেলছে। আবার কেউ নতুন বাগান তৈরি করার জন্য আম বাগান কেটে ফেলছে।’

তার দাবি, শিগগিরই সুদিন ফিরে আসছে আমের বাজারে। চলতি মৌসুম হতেই আম সংশ্লিষ্টরা ন্যায্য দামে তাদের উৎপাদিত আম বিক্রি করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টোর জমিতে আম বাগান রয়েছে। তাতে ৩ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;