ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেড়েছে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য



আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
বেনাপোল স্থলবন্দর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বেনাপোল স্থলবন্দর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-বেনাপোল রুটে সাম্প্রতি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসে বেড়েছে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য। প্রতিদিনই কেউ না কেউ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। যাদের অধিকাংশ ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রী।

যাত্রীদের অভিযোগ, নিরাপত্তায় বাস কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ফলে অপরাধ বেড়েই চলেছে। অনেক ক্ষেত্রে বাস স্টাফদের হাতও থাকতে পারে। তবে পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীরা সচেতন হলেই চক্রটি কারও ক্ষতি করতে পারবে না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ভারতে চিকিৎসা, ব্যবসা আর ভ্রমণে যেতে এ পথে যাত্রীদের ভিড় থাকে। প্রতিদিন প্রায় আট হাজার যাত্রী যাতায়াত করে এই পথে। অপরাধীরা জানে এই রুটের যাত্রীদের কাছে নগদ অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী থাকে। তাই এই রুটে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতাও বেশি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557315404115.jpg
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়া যাত্রীবাহী বাস/ ছবি: বার্তা২৪.কম

গত এক মাসে বেনাপোল পোর্ট থানায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াদের তালিকা বেশ বড়। কেউ যাত্রী সেজে পিছু নিচ্ছে আবার কেউ মাঝ পথে ফেরিওয়ালা বা ডাব, রস বিক্রেতা হয়ে মানুষ ঠকাচ্ছে। গাড়িতে চড়ে পাশে বসেই যাত্রীদের সাথে তারা সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে সুযোগ বুঝে যাত্রীদের অজ্ঞান করে সবকিছু ছিনিয়ে নেয়।

পুলিশের অভিযোগ, এই রুটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে যারা সর্বস্বান্ত হন তাদের ১০ শতাংশ থানায় অভিযোগ করেন। আর ৯০শতাংশ ঝামেলা এড়াতে বিষয়টি চেপে যান। সাধারণত যাদের পাসপোর্ট খোয়া যায় তারাই থানায় অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি বেনাপোল বন্দর থানায় বসে কথা হয় ভারতের ২৪ পরগনার বেলপুর চয়নঘোনা এলাকার দিনেশ মালাকারের ছেলে অসিমমালাকারের (৩৫) সাথে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা চার বন্ধু ভারতে যেতে ঢাকা থেকে ঈগল পরিবহনে উঠি।ফেরিঘাটে নেবে আখের রস খেয়ে আবার বাসে উঠেছিলাম। এরপর আর কিছু জানি না। জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে। আমাদের সবার পাসপোর্ট, টাকা, মোবাইল সবকিছুই খোয়া গেছে। বাড়ি ফিরতে থানায় অভিযোগ লিখিয়েছি।’

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তায় এসব সংঘবদ্ধচক্রকে ধরতে প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে ফেরিঘাটে খাবার বিক্রেতাদের নজরদারিতে রাখতে হবে। এছাড়া দূরপাল্লার বাসে টিকিট নিতে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাহলে অপরাধ কিছুটা কমতে পারে।’

স্থানীয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আগে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে যাত্রীদের ভিডিও ধারণ করা হতো। এতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা অপরাধ করতে ভয় পেত। কিন্তু এখন সেটা করা হয় না। এতে রহস্যজনকভাবে বাসে যাত্রীরা অজ্ঞান পার্টির হাতে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন, এমনকি তাদের জীবনও নিরাপদ নয়। তাই বাসে নিরাপত্তাবাড়ালে যাত্রীরা রক্ষা পাবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557315624610.jpg
বেনাপোল চেকপোস্ট/ ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঢাকা-বেনাপোল রুটে ইদানিং অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তাদের খপ্পরে পড়ে প্রায়ই অনেকে নিঃস্ব হচ্ছেন। বাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠছে। গত সপ্তাহে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে এক পাসপোর্ট যাত্রীকে রাস্তায় ফেলে যায় সোহাগ পরিবহনের সুপার ভাইজার।’

ভারতগামী যাত্রী ফরহাদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বাস কর্তৃপক্ষের আচরণে মনে হয় অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের সাথে তাদের শখ্যতা রয়েছে। বাসে উঠার পর কেউ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়লে তারা কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না।’

এ বিষয়ে লন্ডন পরিবহনের ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম মনির বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যাত্রীদের নিজ থেকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া গাড়ি ছাড়ার সময় ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের জ্ঞাতার্থে সতর্কতামূলক বার্তা প্রচার করতে হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;