সুবীর নন্দীর বেদখল পৈতৃক ভিটায় সংগীত চর্চা কেন্দ্র চান স্থানীয়রা



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
সুবীর নন্দীর বেদখল পৈতৃক বাড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

সুবীর নন্দীর বেদখল পৈতৃক বাড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। তার শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্য যেন জন্মভূমি হবিগঞ্জের মাটিতে করা হয়। কিন্তু অভিযোগ আছে, সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা বেদখল হওয়ায় তার শেষকৃত্য হবিগঞ্জে করা হয়নি। ঢাকার সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

জানা গেছে, হবিগঞ্জে পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে সেখানে একটি পাঠাগার ও সংগীত চর্চা কেন্দ্র গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন এই সংগীত শিল্পী। এ ব্যাপারে তিনি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনাও করেছিলেন। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদও তাকে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জানা গেছে, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নন্দী পাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান সুবীর নন্দী। তার উত্তরসূরিরা ছিলেন জমিদার পরিবারের। নিজেদের বংশের নামে (নন্দী) গ্রামের নামকরণ করা হয় ‘নন্দী পাড়া’। বানিয়াচংয়ের হাওরজুড়ে তাদের ছিল বিশাল সম্পত্তি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বসবাস না করায় পৈতৃক ভিটা ও হাওরের জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

সুবীর নন্দীর বেদখল পৈতৃক ভিটায় সংগীত চর্চা কেন্দ্র চান স্থানীয়রা

গত ৯ মে বানিয়াচং উপজেলার ‘নন্দী পাড়া’ গ্রামে সুবীর নন্দীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের অধিকাংশ জায়গা দখল হয়ে গেছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে অনেক স্থাপনাও। শুধুমাত্র একটি ভবন এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে মল ত্যাগ করে রেখেছে এলাকার বখাটেরা। অভিযোগ আছে, রাতে নেশার আড্ডাও বসে সেখানে।

এলাকাবাসী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের অত্যাচারে বসত ভিটা ছেড়ে স্ব-পরিবারে ভারতে চলে যান সুবীর নন্দীর উত্তরসূরিরা। স্বাধীনতার পর দেশে আসলেও তারা আর নন্দীপাড়া যাননি। সুবীর নন্দীর পিতার চাকরির সুবাধে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানেই বসবাস করতেন তাদের পরিবার। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ শহরের বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন তারা। সেখান থেকেই সুবীর নন্দীর বেড়ে উঠা।

লেখাপড়া করেছেন হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বৃন্দাবন কলেজে। আর সংগীত চর্চা মূলত মার কাছে। তবে হবিগঞ্জ সুর বিতানে ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে নিয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক সংগীত শিক্ষা। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ ছেড়ে চলে যান ঢাকায়। এরপর আর ফেরা হয়নি হবিগঞ্জে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবার পরিজন নিয়ে হবিগঞ্জ ঘুরতে আসতেন তারা।

সুবীর নন্দীর বেদখল পৈতৃক ভিটায় সংগীত চর্চা কেন্দ্র চান স্থানীয়রা

এদিকে, দীর্ঘদিন বিশাল সম্পত্তি পড়ে থাকায় একটু একটু করে বেদখল হওয়া শুরু হয়। হাওরের ফসলি জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালীরা। আর বসত ভিটাটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে দখলে নেয় সরকার। সেখানে সরকার উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ করেছে। এছাড়া সেখানে থাকা একটি বসতঘর এখনও পরিত্যক্ত রয়েছে। আর বাকি স্থাপনাগুলো ভেঙে দিয়েছে সরকার। কিছু কিছু স্থাপনায় বসানো হয়েছে সরকারি কোয়ার্টার।

যদিও দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক ভিটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন সুবীর নন্দী। সর্বশেষ হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসবে এসে জেলা প্রশাসকের কাছে মৌখিক আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক তাকে পৈতৃক ভিটা উদ্ধারের আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে নন্দী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি চাকরিজীবী হাফিজ মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ওনার (সুবীর নন্দী) পৈতৃক ভিটা বেদখল হয়ে গেছে। আমরা সরকারের কাছে এখানে একটি ‘সুবীর নন্দী সংস্কৃতি অডিটরিয়াম’ ও ‘সংগীত চর্চা কেন্দ্র’ গড়ে তোলার দাবি জানাই। যাতে আগামী প্রজন্ম এখান থেকে সংগীত চর্চা করতে পারে।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস শহীদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সুবীর নন্দী ছিলেন বানিয়াচংসহ সারাদেশের গর্ব। অথচ তার পৈতৃক ভিটা বেদখল হয়ে গেছে। সরকার এটা সংরক্ষণ করলে এলাকাটি দর্শনীয় স্থান হতে পারে।’

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী হবিগঞ্জ জেলা সংসদের সহ-সভাপতি এমদাদুল হোসেন খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সুবীর নন্দী একজন বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তার পৈতৃক ভিটা সংরক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। আমাদের বানিয়াচংবাসীর প্রাণের দাবি তার (সুবীর নন্দী) পৈতৃক ভিটাটি সংরক্ষণ করে এখানে একটি ‘সুবীর নন্দী সাংস্কৃতি অডিটোরিয়াম’ ও ‘সুবীর নন্দী সংগীত চর্চা কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হোক।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ বার্ত২৪.কম-কে বলেন, ‘সুবীর নন্দী শুধু হবিগঞ্জের নয়, দেশের মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমরা তার স্মৃতি সংরক্ষণে তার পৈতৃক ভিটায় একটি গণগ্রন্থাগার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;