টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি!



নিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ আছে, ওই শিক্ষক টাকা ছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা সই করছেন না। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে তাকে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে চলতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য ১০০ নম্বরের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়। এ বিষয়ের পাস নম্বর ৩৩। যার ব্যবহারিকে রয়েছে ২৫ নম্বর। তাই ভালো ফল বা পাস করতে শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য বোর্ড থেকে খরচ বাবদ শিক্ষকদের জনপ্রতি ১৫ টাকা করে দেওয়া হয়।

আরও জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। লিখত পরীক্ষা শেষ হওয়ায় কলেজগুলোতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা, যা চলতি মাসেই শেষ করতে হবে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক জালাল উদ্দিন শিক্ষার্থী প্রতি ৩০০ টাকা করে দাবি করেছেন। টাকা না দিলে তাকে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর বাধ্যতামূলক এ বিষয়ে ফেল করিয়ে দিলে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা। তাই ভয়ে ও বাধ্য হয়ে টাকা দিচ্ছেন অনেকে।

অভিযোগ আছে, ওই কলেজে শুধু তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে নয় বিজ্ঞান বিভাগের সব বিষয় ও মনোবিজ্ঞান, ভূগোল ও কৃষির ব্যবহারিকের জন্যও নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। তবে শিক্ষকদের দাবি, পরীক্ষা কেন্দ্রে একটা খরচ আছে। তাই বিনারশিদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খরচ বাবদ অল্প কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে।

সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রী কলেজের একাধিক পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম-কে জানান, কেন্দ্র ফির অজুহাতে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষকরা অতিরিক্ত টাকা নেন। প্রতিবাদ করলে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব টাকা শিক্ষক বা অফিস সহকারীদের মাধ্যমে আদায় করা হয়। টাকা না দিলে ব্যবহারিক খাতায় সই করেন না শিক্ষকরা।

সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক লিমন মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমার ছেলের তিনটি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে এক হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এ ঘুষের টাকা যোগাতে আমাকে আড়াই মণ ধান বিক্রি করতে হয়েছে। টাকা না দিলে বা প্রতিবাদ করলে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

কলেজের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম-কে জানান, শুধুমাত্র লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ব্যতীত জেলার অধিকাংশ কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা আদায় করেছেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ, অন্যথায় মেধার মূল্যায়ন হবে না।

সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক জালাল উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘একটা পরীক্ষা নিতে কিছু খরচ হয় তাই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্র ৩০০ টাকা চাওয়া হয়েছে। সামান্য কয়েকজন দিয়েছেন। গরিব এলাকা সবাই টাকা দেয় না। কলেজ অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়েই টাকা নেওয়া হচ্ছে।’

সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুদান চন্দ্র বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গরিব এলাকা হিসেবে তার কলেজের অধিকাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ফি দিতে পারে না। আর সেখানে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার কথা তো ভাবাই যায় না। তবে কেন্দ্রের কিছু খরচের জন্য চাপ দিয়ে নয়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা হয়তো কৌশলে কিছু আদায় করছেন। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ সময় তিনি এ প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জহুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের খরচ ফরম পূরণের সময় নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী শিক্ষাবোর্ড কেন্দ্রের খরচ বহন করে। ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। কেউ এমন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;