মির্জাপুরে ভেঙে গেছে সাঁকো, ২০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ২০ গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে নদীতে পানি বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত স্রোতের কারণে সাঁকোটি ভেঙে যায়।
জানা গেছে, মির্জাপুরের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষ লৌহজং নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুম এলে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
হঠাৎ করেই লৌহজং নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। এতে নদীতে পানির স্রোত ও উজান থেকে প্রচুর পানি আসায় ব্যাপক চাপে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে।
হঠাৎ করে সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় নদীর এপার-ওপারের শত শত পথচারী আটকা পড়ে। পরে স্থানীয়রা বিকল্প হিসেবে প্রায় চারগুণ ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে উপজেলা চত্বর হয়ে পাহাড়পুর ব্রিজ ও কুতুব বাজার ব্রিজ হয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, দক্ষিণ মির্জাপুরের শতশত মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করে সদরে আসা যাওয়া করে থাকে। সাঁকো ভেঙে পড়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে লৌহজং নদীর ওই এলাকায় একটি ব্রিজ হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান হবে।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, 'জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে সেখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'