পঞ্চগড়ে ১মণ ধানেও মিলছে না ১ কেজি মাংস



মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ধান বেঁধে বিক্রির জন্য আলাদা করে রাখা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪

ধান বেঁধে বিক্রির জন্য আলাদা করে রাখা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এবার বোরো মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশায় দিন অতিবাহিত করছেন সাধারণ কৃষকরা৷ সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু না হওয়ায় অনেক কৃষক কম দামেই ধান বিক্রি করেছেন। তাদের দাবি, যেই টাকায় এক মণ ধান বিক্রি করছেন সেই টাকায় এক কেজি মাংস কেনাও সম্ভব না।

বোরো মৌসুমে ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বিগত বছরের তুলনায় এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে৷ কিন্তু ধানের ভাল ফলন ও বাড়তি উৎপাদন পেয়েও কৃষকদের মুখে হাসির বিপরীতে আজ হতাশার চিত্র৷ উৎপাদনে অধিক ব্যয় ও ধানের বিক্রয় মূল্য কম হওয়াও হতাশা আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে জেলার হাজার হাজার কৃষক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558526106930.jpg
ধান শুকিয়ে বিক্রির জন্য তৈরি করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪

 

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমি যাদের বেশি আছে তারা ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে জমি বর্গা দিচ্ছেন। স্বল্প পুঁজি থাকায় ক্ষুদ্র কৃষকদের একমাত্র ভরসা ঋণ। তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ও গ্রাম্য মহাজনের নিকট থেকে দাদন নিয়ে ধানের আবাদে ঝুঁকছেন। এবার ধানের দাম কম হওয়ায় ঋণ ও বর্গা নেয়া চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

সরকার কৃষকদের ধানের উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করলেও পঞ্চগড়ে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে সাধারণ কৃষকরা পারিবারিক ও উৎপাদন ব্যয় মেটাতে নিম্ন দামে ধান বিক্রি করছেন। ভাল দামের আশায় ধান মজুদ রেখে দেয়া চাষিরাও ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলার আটোয়ারী উপজেলার কৃষক নাজমুল হক জানান, 'ধানের মণ ৪৫০-৫০০ টাকা। ধান উৎপাদন খরচ তুলতে পারছি না ফলে অতিকষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558526173962.jpg
ক্ষেত থেকে ধান সংগ্রহ করে মজুদ করছেন কৃষক, ছবি: বার্তা২৪

 

একই সমস্যায় পড়েছেন বোদা উপজেলার সাকোয়ার ক্ষুদ্র কৃষক রতন হোসেন। তিনি জানান, '১ মণ ধান বিক্রি করে ১ কেজি মাংস কিনে খেতে পারিনা। এতো টাকা খরচ করে ধান চাষে অনেক লোকসানে পড়েছি আমরা।’

পঞ্চগড়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে দেখা যায়, ধানের মণ প্রতি ৪৫০-৫০০ দরে বিক্রি করছেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি ধান বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে। সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ না হওয়া সেই সঙ্গে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ছেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, মণ প্রতি ৮০০-৯০০ টাকায় ধান বিক্রি করলে তাদের উৎপাদন খরচটুকু তুলতে পারবেন।

এবিষয়ে, ধান পাইকারি ক্রেতা মজিবর রহমান জানান, এবার ধানের বাজার অনেক নিম্নমুখী, ধান দেখে দাম দিচ্ছি তবে গত বছর ধানের দাম ভালো থাকলেও এবার তা নেমে অনেক নিচে এসেছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558526228921.jpg
কৃষকের স্বপ্ন 'ধান', ছবি: বার্তা২৪

 

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সস্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবু হানিফ জানান, এ বছর বোরো মৌসুমে পঞ্চগড় জেলার মোট ৫টি উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদ হয়েছে। তবে সরকারিভাবে শীঘ্রই ধান ক্রয় করবে সরকার৷

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;