৫৯ জন শিক্ষার্থীর কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
নড়াইল সদর উপজেলার চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

নড়াইল সদর উপজেলার চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ব্যবহারিকের প্রাপ্ত নম্বর যোগ না হওয়ায় ফেল দেখানো হয়েছিল নড়াইলের ৫৯ শিক্ষার্থীকে। পরে ব্যবহারিকের প্রাপ্ত নম্বর যোগ হলে তারা পাশ করে। তবে তাদের কলেজে ভর্তি নিয়ে নতুন করে এখন দেখা দিয়েছে আরেক জটিলতা।

আর তা হচ্ছে তারা অনলাইনে ভর্তির আবেদনের সুযোগ পায়নি। কারণ তাদের নামের পাশে এখনো অকৃতকার্য দেখানো হচ্ছে। ফলে ওই ৫৯ জন শিক্ষার্থীর কলেজে ভর্তি এখন অনিশ্চিত!

নড়াইল সদর উপজেলার চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ৫৯ জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, স্কুল থেকে যথাসময়ে ৭১ জন শিক্ষার্থীর আইসিটি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বরপত্র বোর্ডে পাঠানোর কথা। কিন্তু পরীক্ষার নম্বরপত্র বোর্ডে পাঠানো হয়নি।

নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সবারই আইসিটি ছিল, তাদের মধ্যে তিনজনের প্র্যাকটিক্যাল নম্বর বোর্ডে পাঠানো হয় এবং তারা সবাই ভালো ফলাফল করে। বাকিদের নম্বরপত্র পাঠানো হয়নি। ফলে ফলাফলে ৬৮ জন শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ফেল দেখানো হয়।

পরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রুব কুমার ভদ্র এবং নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কেন্দ্র সচিব মহিতোষ কুমার দে গত ৭ মে আইসিটি ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র নিয়ে যশোর বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে যান। বোর্ড বিষয়টি দেখে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে দেয়। এতে ৬৮ জনের মধ্যে ৫৯ জন পাশ করে। তবে তারা এখন অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারছে না।

জিপিএ-৫ পাওয়া পিয়া খানম, খাদিজা আক্তার, আরাফাত হোসেন এবং বিজয় কুমার পাল জানায়, অনলাইনে ভর্তির আবেদন করলে রোল নম্বরের পাশে অকৃতকার্য দেখানো হচ্ছে।

তারা হতাশা প্রকাশ করে বলে, ‘ভালো ফলাফল করেও কলেজে ভর্তির জন্য এখন অনলাইনে আবেদন পূরণ করতে পারছি না। আমরা কলেজে ভর্তি হতে পারব তো?’

চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রুব কুমার ভদ্র জানান, প্রথম ধাপের শেষ দিন ২৩ মে পর্যন্ত এ স্কুল থেকে পাশ করা ৫৯ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির সুযোগ পায়নি।

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব ও নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিতোষ কুমার দে বলেন, ‘যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র এবং বুয়েট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানিয়েছেন, যশোর বোর্ড থেকে রেজাল্ট সংশোধনের জন্য বুয়েটে পাঠানো হয়েছে। এখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখভাল করবেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে, রেজাল্ট সংশোধন করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।’

জানা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন এবং তৃতীয় ধাপের আবেদনের তারিখ ২৪ জুন। আগামী ১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;