মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচ রফতানি হচ্ছে বিদেশে
কাঁচা মরিচ চাষে বিখ্যাত মানিকগঞ্জ। জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই মরিচের কম বেশি চাষাবাদ হয় মরিচের। তবে ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলায় মরিচের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি।
অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় মরিচের ফলনও হয় ভালো। তবে উপযুক্ত বাজারদর না থাকায় মরিচ চাষে আগ্রহ কমছে চাষিদের। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে মানিকগঞ্জের মরিচ রফতানি হচ্ছে বিদেশে। মালয়েশিয়া, কুয়েত ও সৌদি আরবে রফতানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের মরিচ।
জমি তৈরি, হাল চাষ, সার ও কীটনাশক মিলিয়ে বিঘা প্রতি জমিতে কৃষকের খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ফলন ও বাজারদর ভালো থাকলে বিঘা প্রতি ওই জমি থেকে ৪০/৪৫ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করা যায় অনায়াসে। তবে বাজারদর ভালো না থাকলে গুনতে হয় লোকসান।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত মৌসুমে জেলার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হলেও চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে মাত্র সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। মরিচের ফলন ভালো হলেও বাজারদর ভালো না থাকার মরিচের আবাদ কমছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তবে চলতি মৌসুমে বাজারদরে সন্তোষ চাষিরা। কিন্তু বাজারদর কমে গেলে লোকসান ছাড়া কোন গতি নেই বলেও মন্তব্য তাদের।
বাড়তি কিছু মুনাফার আশায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন।
শিবালয়ের সাহেলী এলাকার মরিচ চাষি হারেজ মিয়া বার্তা২৪.কম’কে জানান, প্রতি বিঘা জমিতে নিজেদের শ্রম বাদে মরিচ চাষে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে মরিচের ফলন মোটামুটি ভালো। বাজারদরও সন্তোষজনক। এতে করে মরিচ চাষে কিছুটা মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাজারদর কমে গেলে লোকসানের কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
শিবালয়ের বরংগাইল এলাকার মরিচ ব্যবসায়ী জিকির উল্লাহ জানান, বরংগাইল হাট থেকে প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী মরিচ ক্রয় করেন তিনি। পরে সেই মরিচ মালয়েশিয়া, কুয়েত ও সিংগাপুরে পাঠানো হয়। এছাড়াও রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাবনা ও গাজীপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা নিয়মিতভাবে চাহিদা অনুযায়ী মরিচ ক্রয় করেন এই হাট থেকে।
বরংগাইল হাট বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিক মোল্লা বার্তা২৪কম’কে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টন মরিচের আমদানি হয় এই হাটে। পরে এখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায় ওই মরিচ। তবে বিদেশে মরিচ রফতানির পরিমাণ বাড়ানো গেলে মরিচ চাষিরা আরও লাভবান হবে বলে জানান তিনি।