চুয়াডাঙ্গায় অসময়ের তরমুজ চাষে লাভবান চাষিরা



অনিক চক্রবর্তী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
তরমুজ বিক্রির প্রস্তুতি চলছে চাষিদের, ছবি: বার্তা২৪

তরমুজ বিক্রির প্রস্তুতি চলছে চাষিদের, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তরমুজ নামের রসালো এই ফলের নাম মুখে আসলেই যেন মন জুড়িয়ে যায়। কম লোকই আছেন যারা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন না। এখন চলছে দেশজুড়ে পবিত্র রমজান মাস। রমজানের এই মাসে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশপাশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। তীব্র গরমে ইফতারে রোজাদার ব্যক্তিরা নানা খাবারের মাঝে অসময়ের এই আলাদা জাতের তরমুজ পেয়ে খুশি। তাদের মতে দাম একটু বেশি হলেও সারাদিন রোজা রেখে রসালো এই ফলের স্বাদ নিতে ভালোই লাগে।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বল্প সময়ে একটু পরিশ্রম আর পরিচর্যায় অধিক লাভজনক হওয়ায় এই চাষের দিকে ঝুঁকেছেন গ্রামের অনেক কৃষক। রমজান মাসকে পুঁজি করে অনেকে তার নিজের জমিতে আগাম এই রসালো ফলের চাষ করে এরই মধ্যে বিক্রি করা শুরু করেছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে গত বছর উপজেলায় ৩৬ হেক্টর জমিতে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছিলেন। এবছর ৪৫ হেক্টর জমিতে রসালো এই ফলের চাষ করা হয়েছে। যা গত মৌসুমের থেকে প্রায় ১০ হেক্টর বেশি। দামুড়হুদা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম যেমন মদনা, কামারপাড়া, বাড়াদী, নতিপোতাসহ আশপাশের গ্রামগুলোর মাঠে চোখে পড়বে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করছেন কৃষকেরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/29/1559085655405.jpg
বাঁশের মাচায় চাষ করা হচ্ছে তরমুজ, ছবি: বার্তা২৪

নতিপোতা গ্রামের কৃষক সবের মন্ডল জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখেই কিছু বাড়তি টাকা লাভের আশায় তিনি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ মাঠে চাষ করেছেন। গ্রামের মাঠে এক বিঘা জমিতে বাঁশের মাচা পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন তিনি আর তার ছেলে। বীজ বপন পরিচর্যা সার মাচা সেচ মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। মাঠে যে পরিমাণ তরমুজ আছে তাতে সে লক্ষাধিক টাকা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

গ্রামের আরেক কৃষক সামাদুল মিয়া জানান, এ বছর সে ১০ কাঠা জমিতে আগাম চাষ করে করেছিলেন। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও লাভবান হবে বলে আশা করছেন তিনি।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শামিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'গ্রীষ্মকালীন তরমুজ স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক একটা চাষ। গ্রামের কৃষকরা স্বল্প পুঁজিতে এই চাষাবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন। সাধারণত এই তরমুজ বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রোপণ করতে হয়। রসালো এই তরমুজ অসময়ে চাষ করা আমাদের এই অঞ্চলে নতুন হলেও বর্তমানে গ্রামের কৃষকরা এই চাষের দিকে ব্যাপক হারে ঝুঁকছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;