ঈদে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ঈদে নাড়ি ও শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঈদে নাড়ি ও শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ি ও শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে এখনো সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতগুলোতে ছুটি ঘোষণা না করায় ঈদ যাত্রীদের চাপ তেমন ভাবে শুরু হয়নি। কিন্তু ঈদের আগে নিরাপদে ও কোনো ধরনের ভোগান্তি না পোহাতে অনেকেই তাদের পরিবার-পরিজনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে। এখনো বেশি ভিড় না হওয়ায় অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছে।

সরেজমিনে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে দেখা যায়, একটি লঞ্চে যে পরিমাণ যাত্রী থাকার কথা তার থেকে কিছুটা কমই যাত্রী রয়েছে। আর যারা রয়েছে তারা সবাই ঈদের আগে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। লঞ্চে কিছুটা ভিড় কম থাকায় যাত্রীরা বেশ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/30/1559203266788.jpg

ঢাকায় কর্মরত একজন ব্যাংকারের স্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যারা ব্যাংকে চাকরি করেন তাদের ঈদের আগে ছুটি থাকে না বললেই চলে। আর ঈদের একদিন আগে বাড়ি ফেরাটা খুবই কষ্টের। ঘাটে যে পরিমাণ ভিড় হয় তাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাই এবার ঈদের কয়েকদিন আগেই আমার স্বামী আমাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবার আমরা খুব আরামেই বাড়ি ফিরতে পারলাম।’

এ রকম অনেকেই ঈদের আগে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

তবে এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের দৌলতদিয়া ঘাটে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবার ঈদে যাত্রী পারাপারের জন্য ২০টি ফেরি এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেগুলো অলরেডি চলতে শুরু করেছে। তাই আমরা আশা করছি এবার ঈদে ঘাটে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না যাত্রীদের।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/30/1559203288459.jpg

দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল আনোয়ার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদে যাত্রী পারাপারে আমরা ৩৪টি লঞ্চ প্রস্তুত রেখেছি। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।’

রাজবাড়ী পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ঘাট এলাকায় ঈদের আগে ও পরে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।

রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই এবার সবাই ঘরে ফিরতে পারবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;