নির্মলেন্দু গুণের ‘কবিতাকুঞ্জ’



জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
নেত্রকোনা শহরে কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতাকুঞ্জ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনা শহরে কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতাকুঞ্জ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা ভাষার অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণ। কবিতাই তার ঘর-সংসার। দেশ-বিদেশে তার খ্যাতি অনেক। ‘হুলিয়া’ ও ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’- এর মতো অসংখ্য কালজয়ী কবিতা রচনা করে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। তবুও যেন দেশ ও দেশের মানুষকে দেওয়ার শেষ নেই কবির।

অনেক আগে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নিজগ্রাম কাশবনে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কাশবন উচ্চ বিদ্যালয়’ ও ‘রামসুন্দর পাঠাগার’। এবার তিনি নিজ জেলা নেত্রকোনা শহরে গড়ে তুলেছেন ‘বিশ্ব কবিতার বাসগৃহ’ স্লোগানে ‘কবিতাকুঞ্জ’ নামে একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বে এই প্রথম ‘কবিতাকুঞ্জ’ নামে শুধু কবিতা বিষয়ক একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠল। কবিতাকুঞ্জের মূল উদ্দেশ্য - বিশ্বের সব ভাষার কবিদের কাব্যগ্রন্থ সংগ্রহ করা, গবেষণা করা এবং সব ভাষার কবিদের কবিতাকে একত্র করে তা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/30/1559206661252.jpg

জানা গেছে, ২০১৬ সালে কবি নির্মলেন্দু গুণ স্বাধীনতা পুরস্কারের সম্মনী দিয়ে নেত্রকোনা জেলা শহরের মালনী এলাকায় মগড়া নদীর তীরে আট শতাংশ জমির ওপর কবিতাকুঞ্জ গড়ে তোলেন। প্রথমে কবি নিজের অর্থ ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু করলেও পরে অর্থ সহায়তা করেছেন অনেকেই। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি পেতে শুরু করেছে।

কবিতাকুঞ্জের গ্রন্থাগারিক মাহমুদুল হাসান খোকন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কবিতাকুঞ্জ দর্শনে আসেন দেশ-বিদেশের অনেক কবি এবং স্থানীয় কবিতাপ্রেমীরা। যাদের মধ্যে রয়েছেন- স্থানীয় কবি, স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেকে। বর্তমানে কবিতাকুঞ্জে নব্বইটি ভাষার প্রায় দুই হাজারেরও বেশি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার প্রায় ৭০ জন বিখ্যাত কবির ফ্রেমে বাঁধাই করা ছবি রয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/30/1559206686234.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে বিশ্বের সব ভাষার কবিদের কাব্যগ্রন্থ সংগ্রহ করা হবে। কবি-সাহিত্যিকরা কবিতাকুঞ্জে সংরক্ষিত বিভিন্ন ভাষার বই পড়তে ও কবিতাকুঞ্জ পরিদর্শনে আসেন।’

কবিতাকুঞ্জ পরিদর্শনে আসা নেত্রকোনা শহরের বাসিন্দা আবু হিশাম ও মেহেদী হাসান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কবিতাকুঞ্জে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিদের অনেক দুর্লভ বই রয়েছে। যা আমদের পক্ষে সংগ্রহ করে পাঠ করা অসম্ভব। কিন্তু এখানে খুব সহজেই এসব বই পড়া যায়।’

স্থানীয় কবি এনামূল হক পলাশ ও শিমুল মিল্কী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘শুধু কবিতা সংরক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠিত কবিতাকুঞ্জ বিশ্বে এটাই প্রথম। নেত্রকোনার মতো একটি মফস্বল শহরে কবিতাকুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করায় আমরা নির্মলেন্দু গুণের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/30/1559206703538.jpg

স্থানীয় লোকসাহিত্য গবেষক, ছড়াকার ও সাংবাদিক সঞ্জয় সরকার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তি নিকেতনের আদলে কবিতাকুঞ্জ গড়ে তোলা হয়েছে, যা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ জন্য আমরা গর্বিত।’

এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক ও ছড়াকার শ্যামলেন্দু পাল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কবি নির্মলেন্দু গুণের প্রতিষ্ঠা করা কবিতাকুঞ্জ কবিতা প্রেমীদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। তাছাড়া জায়গাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবেও গড়ে উঠতে পারে। সরকার চাইলে এ প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে আরও এগিয়ে নিতে পারে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;