তাদের ঈদ কাটবে ধার করা টাকায়



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকার কয়েকজন জেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকার কয়েকজন জেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'যেসময় নদীতে মাছ আছিল (ছিল), হেসময় (সে সময়) আঙ্গোরে (আমাদের) মাছ ধইরতে দেয় নাই। আবার নদীতে নাইমলে (নামলে) অফিসাররা আই (এসে) জাল আর নৌকা লই (নিয়ে) যায়। অফিসাররা কয় (বলে) কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা অবৈধ। হরে (পরে) আবার ধার-দেনা করি নৌকা আর জাল কিনতে অই (হয়)। এখন নিষেধও নাই, আবার নদীতে মাছও নাই। তাই ঈদের দিন হোলা-মাইয়ার (ছেলে মেয়ে) মুখে একটু সেমাই তুলে দেনের (দেওয়ার) লাই (জন্য) সুদের ওপর টিয়া (টাকা) নিতে অইছে (হয়েছে)।'

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকার কয়েকজন জেলের কাছ থেকে ঈদ কাটানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে এসব কথা বলেন তারা।

জেলেদের মধ্যে রয়েছে ইব্রাহিম হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, নুরুল হক ও আলাউদ্দিন মাঝি। যদিও তাদের উপার্জন এই মেঘনায়ই, আবার এই মেঘনার কারণেই তারা আজ নিঃস্ব। বাড়ি-ঘর সর্বস্ব হারিয়ে তাদের থাকতে হচ্ছে বেড়িবাঁধ এলাকায়। ধর্মীয় উৎসবগুলোও ঠিকমতো উদযাপন করতে পারে না। ধার-দেনাতেই তাদের ঈদ কাটাতে হয়।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৬২ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞার সময় প্রায় ২৫ হাজার জেলে সরকারি খাদ্য সহায়তা পায়। অধিকাংশরাই এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত। নিষেধাজ্ঞা শেষে গত এক মাস নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে জেলার অধিকাংশ জেলেই নদীতে যাচ্ছে না। অন্য কোনো কাজ না করায়, এখন তাদের উপার্জনও নেই। কিন্তু ঈদতো কাটাতে হবে। তাই দাদনদারদের থেকে সুদের ওপর টাকা নিতে হয়েছে তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559464948896.jpg

আলাউদ্দিন নামে এক জেলে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যাইনি। গত এক মাস ধরে নদীতে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রথম দুই-একদিন গেলেও এরপর আর নদীতে নৌকা ভাসানোর ইচ্ছা জাগছে না। সংসার চলে ধার করে। ঈদের জন্য ছেলেমেয়েকে একটি জামাও কিনে দিতে পারিনি।’

আক্ষেপ করে নুরুল হক মাঝি বলেন, ‘কার্ড আছে, কিন্তু সরকারি সহায়তা আমাদের কপালে জোটে না। অনেকে নাম মাত্র জেলে, অথচ তারাই সরকারি বরাদ্দকৃত চাল পায়। আমরা পেশাদার কার্ডধারীরা চাল পাই না। চালের জন্য বোর্ড অফিসে গেলে বলে আমাদের জন্য বরাদ্দ নাই। এদিকে নদীতেও মাছ নেই, তাই বাড়তি খরচ করে নদীতে যেতে পারছি না।’

জেলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস নিষেধাজ্ঞার সময় ধার-দেনা করে নৌকা মেরামত করে রেখেছি। প্রথম দুইদিন গিয়ে মাছ পাইনি। এজন্য এখন আর যাচ্ছি না। ধারের টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না। উপার্জন যেহেতু নেই, ঈদ আনন্দও আমাদের থাকতে নেই।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;