মাত্র ৬ লাখ টাকা হলেই বেঁচে যাবেন নূর!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
পরিবারের সঙ্গে নূর, ছবি: বার্তা২৪

পরিবারের সঙ্গে নূর, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী নেত্রী মমতাময়ী মা আমাকে বাঁচান। আম্মাজান আপনি একটু দয়া করুন আমার ওপরে। আমার পরিবারের আয়ের উৎস আমি মা। আপনি চাইলেই সব কিছু করতে পারেন। আমারে বাঁচার সুযোগ করে দিন।

ঠিক এভাবেই কান্নাজণিত কণ্ঠে বারেবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের মা বলে কথাগুলো বলে যাচ্ছেন শরীরের ভাল্ব নষ্ট হয়ে যাওয়া পীরগঞ্জ উপজেলার কর্ণই হাটপাড়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে নূর ইসলাম(৩০)।

মুখে শুধু কথা একটাই আপনি চাইলেই (প্রধানমন্ত্রী) মা আমাকে বাঁচাতে পাড়বেন। আপনার একটি সাহায্য আমাকে ও আমার পরিবারকে বাঁচিয়ে দেবে। আপনার কাছে সাহায্যের চিঠি পাঠিয়েছি।

জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরেই শরীরের দুটি ভাল্বের মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কষ্ট করে চলছেন নূর ইসলাম। টাকা যোগাড়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষা চাচ্ছেন তার পরিবার।

একটা সময় কাজ করতেন এলাকার নাপিতের দোকানে। এরপরে সেটি ছেড়ে দিয়ে মানুষের বাগান দেখার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কষ্ট করে হলেও তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে চলছিল পরিবারটি। এভাবেই কষ্ট নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে জীবনযাপন। অভাবের সংসারে যেন আরও বড় বিপদ আসলো তাদের সামনে।

বছর খানের আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে নূর ইসলাম। এলাকাবাসীর কাছে আর্থিক সাহায্যের প্রায় ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যান দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে। সমস্যার কোনো সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে চলে যান সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস মেডিকেল কলেজে। কিছুদিন সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পরেই ফুরিয়ে যায় এলাকাবাসীর কাছে সাহায্য নেয়া সেই টাকা। চলে আসনে নিজ বাসায়। অসহায় হয়ে পড়েন নূর। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে এলাকার এক হোমিও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। কিন্তু বড় সমস্যা তো আর ছোট ওষুধ দিয়ে হয়না।

আস্তে আস্তে শরীরের অবস্থার অবনতি। কি করবেন দিশেহারা যেন তার পরিবারটি। এরপরে আবারো এলাকার সকলেই তার পাশে এসে দাঁড়ায়। তাকে পাঠানো হয় ঢাকা হৃদরোগ জাতীয় ইনস্টিটিউটে।

অবশেষে ধরা পরে মূল সমস্যা। হয়েছে তার ভাল্বের সমস্যা। ডাক্তারের মতে দুটি ভাল্বের মধ্যে একটি হয়েছে একেবারেই অকেজো। আর একটি প্রায় অকেজোর পথে। এখন পর্যন্ত সকলের কাছে সাহায্য নিয়ে চিকিৎসায় জন্য প্রায় আড়াই লাখের মতো খরচ করেছেন নূর ইসলাম। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থ। কোথায় পাবেন এতো টাকা.? চিন্তায় পরিবারটি। প্রয়োজন প্রায় ৬ লাখের মতো টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজু, জালাল উদ্দিন জানান, সকলেই মিলে নূর ইসলামের জন্য চেষ্টা করে টাকা তুলে তার সাময়িক চিকিৎসা করেছি। কিন্তু তার ভাল্বের অবস্থা ভালোনা। অনেক টাকার প্রয়োজন। সমাজের বিত্তবানরা যদি সকলে তার পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো তাকে বাঁচানো যাবে।

অসুস্থ নূর ইসলামের স্ত্রী পারুল বার্তা২৪কে জানান,অনেকদিন ধরেই অসুস্থ হয়ে আছে আমার স্বামী। এলাকার সকলের কাছে হাত জোড় করে টাকা তুলে এতদিন চিকিৎসা করেছি। কিন্তু এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কি করবো আমরা ? একবেলা খাইতো আরেক বেলা সঠিক করে খাইতে পারিনা। কি করে এতো টাকা জোগাড় করব? তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভিক্ষা চাই আমাদের দিকে একটু তাকান। সেই সাথে সকলের কাছে অনুরোধ আপনারা আমার স্বামীটারে বাঁচান।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;