‘বাঁশের সাঁকো নয়, পাকা সেতু চাই’



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
গৌরীপুরে ডয়কা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোর বেহাল দশা

গৌরীপুরে ডয়কা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোর বেহাল দশা

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের টেঙ্গাপাড়া গ্রামে ডয়কা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১৫ গ্রামের অর্ধলক্ষ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নতুন করে সাঁকো নির্মিত না হওয়ায় প্রতিদিন দুই উপজেলার শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছেন।

টেঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এখলাস উদ্দিন বলেন, বর্ষাকালে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকে। তখন গ্রামবাসীকে বিকল্প পথে ১২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে নদীর অন্য পাড়ে যেতে হয়। সাঁকোটি নতুন করে তৈরি করলে প্রায় ২ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা নদীতে বাঁশের সাঁকো চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি পাকা সেতু চাই।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/11/1560250537231.jpg
স্থানীয় ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডয়কা নদী গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সীমানা ভাগ করেছে। নদীর পূর্ব পাড়ে গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের টেঙ্গাপাড়া গ্রাম। পশ্চিমপাড়ে ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রাম। নদীতে সেতু না থাকায় স্বাধীনতার পর থেকেই দুই উপজেলার টেঙ্গাপাড়া, পল্টিপাড়া, সানিয়াপাড়া, শাহবাজপুর, ধোপাজাঙ্গালিয়া, বড়ইবাড়ি, মাসকান্দা, মাইজহাটি, জিগাতলা, সোহাগী, মমরুজপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় নদী পার হতেন। ২০১৭ সালে সহনাটি ইউনিয়নের গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে নদীর উপর ২২০ হাত লম্বা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন।

এরপর সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সাঁকোটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য টেঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পথ মাটি কেটে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেন। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই বাঁশের সাঁকোটির বিভিন্ন অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে যায়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/11/1560250561363.jpg
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে ডয়কা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোর কাঠামো অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গেছে। ভেঙে পড়ছে সাঁকোর খুঁটি ও পাঠাতনের বাঁশ। গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীরা কাদাপানি মাড়িয়ে ডিঙি নৌকায় নদী পার হচ্ছে।

ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কায়েস আহমেদ বলেন, সহনাটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ডিঙি নৌকায় নদী পার হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, সোহাগী উচ্চ বিদ্যালয় ও স্বপ্নসিঁড়ি গার্লস স্কুলে এসে পড়াশোনা করে। কিন্ত নদীতে সেতু না থাকা ও বর্ষাকালে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/11/1560250584479.jpg
সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় দুই উপজেলার ১৫ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ডয়কা নদী পার হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরজমিনে এনে সেতু না থাকার দুর্ভোগের বিষয়টি দেখিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ উদ্যোগ নেয়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মো. ওয়াহিদুল হক বলেন, ডয়কা নদীর উপর সেতু না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেতু নির্মাণের সার্বিক বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেতু নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;