পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে পাঠদান!



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল, বার্তা২৪.কম
এই স্কুলেই পড়ালেখা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, ছবি: বার্তা২৪

এই স্কুলেই পড়ালেখা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ১৬ নং ঢেপাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস। ফলে আবহাওয়া খারাপ হলে বৃষ্টির পানিতে ভিজেই ক্লাস করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এতে বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা ঢেপাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি ভবন রয়েছে। যার একটি শিক্ষকরা অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন। অন্য একটি ভবনের দুটি কক্ষে ক্লাস চলছে এবং বাকি ভবনটি পরিত্যক্ত। যে ভবনটিতে ক্লাস চলছে সেখানে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনেই ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে।

পরিত্যক্ত ভবনের দুইটি কক্ষের দরজা, জানালা, টিনের চাল মরিচা ধরে খসেখসে পড়ছে। তাছাড়া বিদ্যালয়টি সড়কের পাশে হওয়ায় রাতে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে এবং তারা ঘর নোংরা করে রেখে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/16/1560679517037.jpg
ভাঙা টিনের চালের নিচেই শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখা করছে, ছবি: বার্তা২৪

 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২৫৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। ভবনটি ১৯৯০ সালে নির্মাণের পর আর সংস্কার করা হয়নি। এরপর ২০১৫ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিব হাসান নীরব বার্তা২৪.কম-কে জানায়, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে ভয় লাগে। জরাজীর্ণ কক্ষে ক্লাস করতে তাদের ভালো লাগে না। অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেও আসছে না।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি বার্তা২৪.কম-কে জানায়, যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। তাই নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। নতুন ভবন হলে তাদের পড়াশুনায় মন বসবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/16/1560679735161.jpg
ঘরের দেয়াল খসেখসে পড়ছে, ছবি: বার্তা২৪

 

ঢেপাকান্দি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিকল্প না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ এই কক্ষে ক্লাস নিতে হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায় না।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। বারবার শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।’

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজামাল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে উন্নয়ন কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন, বিদ্যালয়ের গেট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;