কমিটির সহায়তায় কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি দখল!



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কক্সবাজার
বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপিত ঝুপড়ি দোকান, ছবি: বার্তা২৪

বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপিত ঝুপড়ি দোকান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার খাসজমি দখলের পর এবার সৈকতের বালিয়াড়ি দখলে নেমেছে প্রভাবশালী মহল। কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কয়েকজন সদস্যকে ম্যানেজ করে সৈকতের পর্যটন স্পটগুলোতে ঝুপড়ি দোকান নির্মাণের নামে দখল উৎসবে নেমেছেন তারা। ঝুপড়ি দোকান ছাড়াও সৈকতের ইজি চেয়ার, ছাতা, স্পিডবোট, বিচকার, ঘোড়া, বিচ ফটোগ্রাফার, ভ্রাম্যমাণ চা-কফি, ডাব, মুড়ি-বাদাম বিক্রেতাসহ সব কিছু চলছে তাদের ইশারায়।

সম্প্রতি নতুন করে বিচ দখল করে দোকান নির্মাণের ঘটনায় নিন্দা জানায় সুশীল সমাজ। ফলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560766205749.jpg

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন লাখো পর্যটক। পর্যটকদের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় ২৫০টি ভ্রাম্যমাণ দোকানের অনুমোদন দেয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল এক হাজারেরও বেশি ঝুপড়ি দোকান নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে এসব ঝুপড়ি দোকানের বিষয়ে জেলার সুশীল সমাজ, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামমাত্র উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পরে আবারও ওইসব দোকান নির্মাণ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন নগরী হিসেবে ভ্রাম্যমাণ হকারদের জন্য একটি মার্কেট করা হয়। সেখানে সামান্য ফি দিয়ে দোকান পাওয়ার কথা। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির অপতৎপরতায় তা হয়ে ওঠেনি। এসব দোকান চলে যায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের হাতে। ফলে হতভাগা হকাররা বঞ্চিতই থেকে যান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560766252002.jpg

আরও জানা গেছে, সৈকতে রাতের আঁধারে দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করা হলে উচ্ছেদ অভিযান পারিচালনা করা হয়। কিন্তু এসবের পরও থেমে থাকেনি বালিয়াড়ি দখল করে ঝুপড়ি নির্মাণ।

সরেজিমন দেখা গেছে, চারদিকে ত্রিপল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে হকার মার্কেটটি। এর ভেতরে রয়েছে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ করা অংশও। অর্থাৎ গোপনে চলছে দখল। যাদের নামে দোকান বরাদ্দ হয়েছে তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময় অন্যজনকে ভাড়া দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য নঈমুল হক চৌধুরী টুটুলের নামে ছয়টি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিমের নামে চারটি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহানের নামে ছয়টি, জনৈক লালুর নামে ৩০টি, যুবদল নেতা জয়নালের নামে ২৫টি দোকানের অনুমোদন রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560766364006.jpg

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সৈকতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন যে অভিযান পরিচালনা করেছে, সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। আর যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তার কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান হয়নি।’

আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সমন্বয়ক কলিম উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সৈকতে উচ্ছেদ অভিযান লোক দেখানো। এটি বিচ ম্যানজমেন্ট কমিটির আইওয়াশ মাত্র। হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সৈকতে ৩০০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা রাখা যাবে না। আমরা আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পক্ষে। দ্রুত এসব ঝুপড়ি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে এ মুহূর্তে কোনো দখল হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;