মেঘনা উপকূলে ভাঙন: ভাঙছে মানুষের স্বপ্নও



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর উপকূলে ভাঙন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর উপকূলে ভাঙন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে প্রায় দুই যুগ ধরে ভাঙছে মেঘনা নদীর পাড়। মাইলের পর মাইল ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে মেঘনার পেটে। একবার ভাঙার পর উপকূলের মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে বেশ দূরে আবার ঘর বাঁধে। কিন্তু কিছুদিন পর সেখানেও হানা দেয় ভাঙন। ফলে ভেঙে যায় হাজার হাজার মানুষের নতুন স্বপ্নও। মেঘনার ভাঙনে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ, থামছে না উপকূলবাসীর কান্না।

ভাঙনে অতিষ্ট হয়ে উপকূলবাসীর মনে এখন নানা প্রশ্ন। ভাঙন কবে থামবে, কবে মেঘনা তীরের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, কত ভাঙনে মেঘনার পেট ভরবে? এলাকাবাসী মনে করেন, মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজন টেকসই নদী তীর রক্ষা বাঁধ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560942439736.jpg

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলা ঘিরে রেখেছে দেশের দীর্ঘতম নদী মেঘনা। গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এই মেঘনার ভাঙনে এসব উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হয়ে গেছে। সদরের চররমনী মোহন, রায়পুরের উত্তর চরবংশী, কমলনগরের চর ফলকন, চর কালকিনি, লুধুয়া, পাটারিরহাট, সাহেবের হাট, রামগতির চর আবদুল্লাহ, চর আলেকজান্ডারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বিস্তীর্ণ জনপদ ভাঙন কবলিত।

আরও জানা গেছে, ২০১৪ সালে একনেক সভায় কমলনগর-রামগতি রক্ষায় ৩৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প পাস হয়। প্রথম পর্যায়ে রামগতিতে সাড়ে চার ও কমলনগর উপজেলায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560942461998.jpg

গত মার্চ মাসে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এক সভায় জানান, রামগতি-কমলনগর রক্ষা প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল বাতিল করা হয়েছে। তবে এ খবর শোনার পর উপজেলার প্রায় সাত লাখ মানুষ ভিটে রক্ষায় বিভিন্ন আন্দোলন করে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ বছরে নদীর ভাঙনে ৩১টি বড় হাট-বাজার, ৩৫ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ৩০টি সাইক্লোন শেল্টার, ৫২টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার, ৪০০ কিলেমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক, ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে তলিয়ে গেছে ৫০ হাজার একর ফসলি জমি ও ৪৫ হাজার বাড়িসহ কয়েক হাজার কোটি টাকা মূল্যের সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560942505907.jpg

স্থানীয়রা জানান, রামগতি-কমলনগর উপজেলার ৩২ কিলোমিটার এলাকা এখনো ভাঙন কবলিত। যেকোনো সময় বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কমলনগরের চর কালকিনি গ্রামের বাসিন্দা আবু সাইয়েদ মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘উপজেলার মতিরহাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটর দূরে নদী ছিল। এর মধ্যে দুটি বড় বাজারও ছিল। সব ভেঙে মতিরহাট বাজারও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পরে বাঁধ নির্মাণ করায় ভাঙন থেমেছে। এখানে আমার পুরাতন বাড়ির একটি গাছ ছাড়া আর কিছুই নেই। পরে নদীর তীরেই আবার বাড়ি করেছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560942526309.jpg

পাটারিরহাট ইউনিয়নের আবদুল জব্বার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘দুইবার আমার বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কবলে পরে অনেকে এলাকা ছাড়া। অনেকে সড়ক ও বিভিন্ন বাঁধের পাশে বসবাস করছেন। মেঘনার ভাঙন এখনও বেড়েই চলেছে।’

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘অনেক আগেই প্রথম পর্যায়ে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এজন্য কাজও শুরু করা যায়নি। ভাঙন রোধে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর জন্য বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;