বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে পদযাত্রী রফিকুল এখন বগুড়ায়



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা২৪.কম
রফিকুল ইসলাম। ছবি: বার্তা২৪.কম

রফিকুল ইসলাম। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফিকুল ইসলাম (৫৯)। পেশায় রিকশা চালক। বাড়ি রংপুর শহরের তাজহাট উত্তর বাবুপাড়ায়। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার পর থেকেই তার ভক্ত হয়ে যান রফিকুল। আর তখন থেকেই রফিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে লালন করতে থাকেন।

জাতীর জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও কষ্টের কথা স্মরণ করে রফিকুল ইসলাম পায়ে হেঁটে টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। সেখানে তিনি জাতির জনকের মাজার জিয়ারত করে পায়ে হেঁটে ঢাকার গণভবনে যাবেন। এই পদযাত্রার অংশ হিসেবে বগুড়া জেলায় অবস্থান করেছেন তিনি।

রোববার (২৩ জুন) সকাল ৯টায় রফিকুল ইসলাম বগুড়া সার্কিট হাউজ থেকে আবারো পদযাত্রা শুরু করেছেন। তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় পৌঁছে সেখানে রাতযাপন করবেন। এর আগে ২১ জুন রাতে বগুড়ায় পৌঁছে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম গত ১৩ জুন রংপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। গত কয়েকদিনে মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ অতিক্রম করে ২১ জুন বগুড়ায় পৌঁছান তিনি।

জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে স্বশিক্ষিত রফিকুল ইসলাম শখ করে বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন করতে শুরু করেন। পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সরকারি অফিস এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত শতাধিক বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন করেছেন তিনি। পাশাপাশি ৪ শতাধিক কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেছেন।

রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ১৯৮০ সাল থেকে রংপুর শহরে রিকশা চালান তিনি।

নিজেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক দাবি করে রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৮৫ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে চেষ্টা করেন। এক সময় সফল হন তিনি। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর রংপুর শহরের তাজহাট বাবুপাড়া বটতলায় দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন করে সবার নজরে আসেন। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ছবি অঙ্কন করছেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম জানান, ছোট বেলা থেকেই তার হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস ছিল। ১৯৯০ সালে একবার যানবাহন না পেয়ে পাটগ্রাম থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার পথ পাঁয়ে হেটে এসেছিলেন। এরপর আর দীর্ঘ পথ পায়ে হাঁটা হয়নি।

২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি চিন্তা করেন বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতীর জন্য এতো কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন, তার ঋণ শোধ করার মতো নয়। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন পায়ে হেঁটে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করবেন। আর ওই চিন্তা থেকেই পদযাত্রা শুরু করেন তিনি।

বগুড়া থেকে রওনা হয়ে শেরপুর, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার বেড়া, সাথিয়া, সুজানগর হয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রাজবাড়ি জেলায়। আগামী ১৯ জুলাই টুঙ্গিপাড়া পৌঁছাবেন রফিকুল ইসলাম।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;