৪০ বছরের দাবি পূরণ হচ্ছে চরভদ্রাসনবাসীর



রেজাউল করিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
ভাঙন ঠেকাতে নদীতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভাঙন ঠেকাতে নদীতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নদীর একূল ভাঙে ওকূল গড়ে- এই তো নদীর খেলা। জনপ্রিয় গানটি বছরে পর বছর নদী ভাঙনের শিকার মানুষগুলোর জন্য শুধুই সান্তনার বাণী। বাস্তব জীবনে নদীর ভাঙনে শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের লাখো মানুষ। পদ্মার করালগ্রাসে গত ৪০ বছরে ভিটেবাড়ি হারিয়েছেন তারা। আর ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পুরো চরভদ্রাসন উপজেলা।

সেই চরভদ্রাসনের পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন কবলিত এমপিডাঙ্গী, চরহাজীগঞ্জ ও চরহোসেনপুরের সাড়ে তিন কিলোমিটার নদী শাসনের কাজ শুরু করেছে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরই মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। আর তাতেই আশায় বুক বেঁধেছে উপজেলাবাসী।

এমপিডাঙ্গীর জরিনা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত ১০/১২ বছরের ভাঙতে ভাঙতে এখন আমার ঘর ধরে গেছে। এ বছর যদি ভাঙন ঠেকানো না যায়, তাহলে মারা যাবো। আমার সব শেষ হয়ে যাবে। আমরা সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। ভাঙনরোধে সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি বলেন, ভাবছিলাম এবার ভিটেবাড়ি ভেঙে যাবে। কিন্তু যে কাজ হচ্ছে, তাতে আশা করছি রক্ষা পাবো।

শেখ হারুন বলেন, গত ৩০ বছরে ২/৩ বার ভাঙনের শিকার হয়েছি। এবার ভাঙলে আর যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। অনেকদিন পর হলেও সরকার যে কাজের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও দাবি করেন, যে কাজ হচ্ছে- তা যেন সঠিকভাবে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/23/1561311917569.jpg

শেখ সামছুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙতে ভাঙতে আর তেমন কিছু বাকি নাই। স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তাঘাট সব গেছে। গতবার ফরিদপুর জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তার অংশ ভেঙেছে। এবার যদি কাজ না করা হতো, তবে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতো।

তিনি বলেন, এই যে কাজ হচ্ছে তা এই উপজেলাবাসীর আন্দোলনের ফসল। উপজেলার মানুষ বার বার দাবি তোলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন এগিয়ে এসে এই প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন দাবি করেছেন।

স্থানীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুল বারী দিপু বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙনে ৩/৪ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। চলমান এই কাজের ফলে এ এলাকার মানুষের ভিটেমাটি রক্ষা পাবে।
কাজের মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যবারের তুলনায় কাজ ভালো হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয়ভাবে টাস্কফোর্স টিম গঠন করে কাজ তদারকি করা হচ্ছে। প্রতি সাতদিন পর পর নতুন প্রকৌশলী আসছেন এবং কাজের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।

চলতি সপ্তাহে কাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত টাস্কফোর্স সদস্য প্রকৌশলী শাহ মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, বালুর কোয়ালিটি, বালুর ওজন, ডাপিংয়ের সংখ্যা, ডাপিংয়ের স্থানগুলো তদারকি করছি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ডাপিং করাচ্ছি। কোনো সমস্যা মনে করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি ভুল ডাপিং হয় সে বস্তা হিসেব থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আবার কোনো বস্তার ওজনে কম পেলে তাও বাদ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, দুই বছর মেয়াদে ৭টি গ্রুপে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন, আমিন এন্ড কোং ও খন্দকার শাহীন লিঃ কাজ করছে। এ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কাজের প্রথম পর্যায়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ডাপিং করা হবে। পরবর্তীতে শুকনো মৌসুমে সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই বাঁধ নির্মাণ। তারই প্রেক্ষিতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কাজটি বাস্তবায়ন হলে চরভদ্রাসন উপজেলার প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;